রংপুরের উপজেলাগুলোর মধ্যে পীরগাছা মহামারি করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে। গতকাল সোমবার নতুন করে আরো একজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার এক মাস আট দিনের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক মাস পর ৮ এপ্রিল রংপুরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক উপজেলায়। সর্বশেষ উপজেলা হিসেবে গত ১ মে পীরগাছায় প্রথম দুজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত পীরগাছায় মোট ১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর পরেই ১৫ জন আক্রান্ত গঙ্গাচড়া উপজেলায়। বদরগঞ্জে ৮ জন, মিঠাপুকুর, তারাগঞ্জ ও কাউনিয়ায় মোট ১৩ জন করে আক্রান্ত। পীরগঞ্জে আক্রান্ত সকলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহে অনাগ্রহের অভিযোগ করেছেন অনেকে। আবার নমুনা দেওয়ার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও রিপোর্ট হাতে না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এস এম শাকির আলম বলেন, কেউ স্যাম্পল দিতে গেলে ওনারা বলেন আপনি সুস্থ, লাগবে না টেস্ট করা। হাতে পায়ে ধরলেও টেস্ট করায় না। আবার উপসর্গ ছাড়া কাউকে টেস্ট করাচ্ছে না। ফারুক আহমেদ লিটন নামে আরেকজন বলেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য আমি দুই দিন গেছিলাম। ডিউটিরত ডাক্তারগণ আমাকে অনেক কিছু বুঝাইয়া বিদায় করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে পীরগাছায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। মোট ১৮ জন আক্রান্তের মধ্যে এক উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী, একজন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে আটজন ও রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আটজন।
পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সানোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, অসচেতনতার কারণে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ল্যাবে সীমিত নমুনা পরীক্ষার সুযোগ থাকায় আপাতত উপসর্গ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।