কেয়ামতের মাধ্যমে ধ্বংস হবে এ পৃথিবী। কিন্তু কেয়ামতের পূর্বেই ছোটখাটো কেয়ামত প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী। আর এ কেয়ামতের নাম হচ্ছে- করোনাভাইরাস। করোনা কেয়ামতে পৃথিবী ধ্বংস না হলেও গোটা বিশ্বের মানচিত্র পাল্টে গেছে। বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে লাশের মিছিল দেখেছে। কিন্তু যুদ্ধ ছাড়াও যে লাশের মিছিল হয়, তা এবার প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী। করোনা যুদ্ধে দেশে দেশে ছিলো লাশের মিছিল। এ যুদ্ধে আক্রান্ত এবং মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। আর আমেরিকায় শীর্ষে ছিলো নিউইয়র্ক। এই নিউইয়র্কেই সর্বাধিক বাংলাদেশির বসবাস।
মূলত মার্চ মাস থেকেই নিউইয়র্ক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। নিউইয়র্কের অলিতে গলিতে ২৪ ঘন্টা ছিলো এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। ঘরে ঘরে ছিলো কান্নার রোল।
নিউইয়র্কসহ আমেরিকার অন্যান্য স্টেটে বিনা চিকিৎসায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হবেÑ এটা কী কেউ কোনদিন কল্পনা করেছিলো?
নিউইয়র্কের বাতাসে ছিলো লাশের গন্ধ। চারদিকে ছিলো হাহাকার ও শোকের মাতম। মানুষের বুকফাটা আর্তনাদে নিউয়র্কের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিলো। গভর্নর এন্ড্রু কুমো নিউইয়র্ক সিটিতে মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। অনেকটা নিজ গৃহেই জেলের মত স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন সবাই। তারপরেও স্বস্তি ছিলো না, বন্ধ করা যায়নি লাশের মিছিল। চারিদিকে ছিলো লাশের স্তুপ। জায়গা পর্যন্ত ছিলো না লাশ রাখার!
মানুষ মানুষের মৃত্যু দেখেছে, কিন্তু এমন অমানবিক মৃত্যু এর আগে কেউ লক্ষ্য করেনি। যুদ্ধের মৃত্যু করুণ, তারচেয়েও করুণ ছিলো করোনায় মৃত্যু। দেখাতো দূরের কথা, স্ত্রী দেখতে পারিনি স্বামীর লাশ, স্বামী দেখতে পারেনি স্ত্রীর লাশ, সন্তান দেখতে পারেনি বাবা-মার লাশ! আর বাবা-মাও দেখতে পারেনি কলিজার টুকরো প্রিয় সন্তানের লাশ। ভাই দেখতে পারেনি বোনের লাশ, বোন দেখতে পারেনি ভাইয়ের লাশ। বন্ধু দেখতে পারেনি বন্ধুর লাশ, বান্ধবী দেখতে পারেনি বান্ধবীর লাশ। প্রতিবেশী দেখতে পারেনি, প্রতিবেশীর লাশ। এমন কী শেষবারের মতো বিদায় জানানোও সম্ভব হয়নি। কী অমানবিক! কী নিদারুণ কষ্ট! বাসা থেকে হাসপাতাল, হাসপাতালেই লাশ! করো কারো লাশ হাসপাতালে ফ্লোরে! চিকিৎসাও পায়নি। হাসপাতালে কাউকে যেতেও দেয়া হয়নি। ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে- সব শেষ! অক্সিজেন খুলে দেয়া হলো, জলজ্যান্ত মানুষ হয়ে গেল শুধুই লাশ! প্রিয়জনকে হারিয়ে কেউবা হাউমাউ করে কেঁদে বুকের পাথরটিও সরাতে পারেননি পরিস্থিতির কারণে।
একজন করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক এ প্রতিনিধিকে জানালেন, কত আর্তনাদ করেছি, অনুরোধ করেছি, কেউ ফিরেও তাকায়নি, পানি চেয়েছি, কিন্তু পাইনি। নার্সদের যখন মর্জি হয়েছে, তখন পানি দিয়েছে। আমার চারিদিকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে অসহায়ের মতো মরে যেতে দেখেছি। জীবন থাকা এবং নড়াচড়া করা দেহটি এক সময় নিথর হয়ে যেতে দেখেছি। অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা চোখের পাতা দুটো হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো! এসব সহ্য করার মতো দৃশ্য ছিলো না, কিন্তু সহ্যশক্তির মেশিনটিও যেন অবশ হয়ে গিয়েছিলো। সৃষ্টিকর্তাই ছিলো একমাত্র ভরসা।
তিনি আরো বলেন, কখনো জ্ঞান হারিয়েছি, আবার জ্ঞান ফিরে পেয়েছি। তাও আবার ডাক্তার জানিয়েছে। প্রাণরক্ষার হাসপাতাল যেন প্রাণঘাতী হাসপাতালে পরিণত হলো। ডাক্তার এবং নার্সদের তুলনায় রোগির সংখ্যা ছিলো অনেক বেশি। সব রোগিই সিরিয়াস। কাকে রেখে কার চিকিৎসা তারা করবে? তারপরও ডাক্তার এবং নার্সদের ধন্যবাদ! না খেয়ে, না ঘুমিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টানা কাজ করে অনেকের জীবন রক্ষা করেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে আলোকোজ্জ্বল এবং লাস্যময় ভালবাসার নিউইয়র্ক সিটি যেনো আতঙ্ক ও রুঢ় সিটিতে পরিণত হয়। সদা প্রাণচঞ্চল নিউইয়র্ক সিটি ইট-পাথরের শহর হয়ে দাঁড়ায় জনমানব শূন্য, ফাঁকা। নিউইয়র্কের বহুতল ভবনগুলো যেন একাই দাঁড়িয়েছিলো। এসময় দীর্ঘদিনের চেনা নিউইয়র্ক অচেনা নিউইয়র্কে পরিণত হয়। করোনার কাছে বিপন্ন হয় মানবতা।
গত ৮ জুন নিউইয়র্কের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস নিউইয়র্কেই প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। এই মৃত্যুর মিছিলে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও ছিলো অনেক। অন্যান্য কম্যুনিটির তুলনায় বাংলাদেশিদের মৃত্যুর হার ছিলো অনেক বেশি। নিউইয়র্কসহ আমেরিকার অন্যান্য স্টেটেও করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি কম্যুনিটির লিডার, সাংবাদিক, ডাক্তারসহ সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, সাংবাদিক স্বপন হাই, সাংবাদিক স্বপন কুমার, ডা. কাজী জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা আজাদ বাকের, যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ১৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ২৭০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। করোনায় প্রথম বাংলাদেশি নুরজাহান বেগম ১৯ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই করোনায় বাংলাদেশিরা মৃত্যুবরণ করেন। এখনো মৃত্যুবরণ করছেন। অনেকেই হাসপাতালে রয়েছেন। কোন কোন দিন ১২ জন বাংলাদেশিও একদিনে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সরকারিভাবে কেউ করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের কোন ডাটা রাখা হয়নি। নিউইয়র্কে করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪১ জনের মরদেহ বাংলাদেশ সোসাইটির লংআইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল এবং নিউজার্সির মালবরো কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী জানান, ১৪১ জনের মধ্যে ৩০ জনের কবরের অর্থ পাওয়া যাবে। বাকি কবরগুলো বিনা অর্থে দান করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরও অর্থ প্রদান করা হয়।
আরো বেশ কয়েকটি সংগঠনও তাদের সদস্যদের বিনা অর্থে কবর দান করেছে। তার মধ্যে অন্যতম বিয়ানীবাজার সমিতি, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি, স›দ্বীপ সোসাইটি, কোম্পানীগঞ্জ সোসাইটি।
ঠিকানার রিপোর্ট অনুযায়ী যেসব বাংলাদেশি করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা হলেন-
নূর জাহান বেগম (কুইন্স), আবুল কালাম আজাদ (কুইন্স), মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (ব্রঙ্কস), সাঈদা বেগম (কুইন্স), জাহানারা বেগম (কুইন্স), এস এম এ হাই স্বপন (কুইন্স), কৃষ্ণমা তানকারা (ব্রঙ্কস), মোস্তাফিজুর রহমান (কুইন্স), মোহাম্মদ মালেকুজ্জামান (কুইন্স), জালাল মিয়া (কুইন্স), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (কুইন্স), হুসনে আরা বেগম (কুইন্স), কামাল আহমেদ (কুইন্স), মাইনুল হুদা (কুইন্স), মাওলানা ইশহাক মিয়া (কুইন্স), আজাদ বাকের (কুইন্স), মোহাম্মদ টি আহমেদ (কুইন্স), মোহাম্মদ ইমান এইচ খান (কুইন্স), আবুল ফারহা (ব্রæকলিন), মমতাজ বেগম (ব্রঙ্কস), তনিমা ইসলাম খান (কুইন্স), মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম (কুইন্স), মিনারা সুলতানা (কুইন্স), মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ (কুইন্স), মোহাম্মদ কে উদ্দিন (কুইন্স), দেলোয়ারা ইসলাম (কুইন্স), ইজাজ বাইজ (ডিয়ারপার্ক), মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (কুইন্স), আতাউর রহমান (কুইন্স), শাহানুর রহমান (কুইন্স), মোহাম্মদ শরিফ (কুইন্স), রফিকুল ইসলাম সোবহানী (কুইন্স), মোহাম্মদ মাজিদ (কুইন্স), হাসনা বেগম (কুইন্স), হারফুন নাহার (কুইন্স), মোহাম্মদ মাফিউর রহমান (কুইন্স), আবুল কাশেম (কুইন্স), আবুল হোসাইন (কুইন্স), এনাম হোসাইন (কুইন্স), মোহাম্মদ এ জামান (কুইন্স),
জাকির হোসেন (বাফেলো), মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (ব্রæকলিন), তানজিন রাশেদ (লংআইল্যান্ড), এডভোকেট হায়াত আলী খান (লংআইল্যান্ড), খন্দকার মোছাদ্দিক আলী সাদেক (ব্রঙ্কস), রতন চৌধুরী (কুইন্স), হযরত আলী (কুইন্স), বনিতা তাজিন খান (কুইন্স), মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (ভার্জিনিয়া), ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (ওয়াশিংটন), জাহানারা বেগম (কুইন্স), আমেনা খাতুন (কুইন্স), রওশন আরা ফেরদৌস (কুইন্স), জাকির হোসেন (কুইন্স), মোহাম্মদ খোকন (কুইন্স), মোহাম্মদ মানিক মিয়া (কুইন্স), পেয়ারা হোসাইন বেবি (কুইন্স), সফিকুর রহমান (কুইন্স), ঝন্টু সরকার (কুইন্স), হাসনা আরা বেগম (কুইন্স), দেওয়ান আফজাল চৌধুরী (কুইন্স), জোহরা উল্যাহ (কুইন্স), মোহাম্মদ আলী আরশাদ (ব্রæকলিন), বীণা মজুমদার (কুইন্স), রানা বেগম (কুইন্স), ফাতেমা আক্তার জাহান (ব্রঙ্কস), বুলবুল আহমেদ (কুইন্স), নাবিলা চৌধুরী লাজু (লংআইল্যান্ড), এনাম উদ্দিন (কুইন্স), বশির আহমেদ (নিউজার্সি), জাকিয়া খাতুন (কুইন্স), হালিমা খাতুন (কুইন্স), সালাউদ্দিন আহমেদ (কুইন্স), আলী মুনায়েম (নিউহাইড পার্ক), রউফ আহমদ (কুইন্স), তাজুল ইসলাম (কুইন্স), ফরিদ উদ্দিন (ভার্জিনিয়া), আব্দুল মঈন চৌধুরী (মিশিগান), মোহাম্মদ আব্দুল হক উতুল (কুইন্স), জামিলা আহমেদ পিংকি (মেরিল্যান্ড), আব্দুল জলিল (কুইন্স), মোহাম্মদ রহমান (কুইন্স), আবু তাহের (ব্রঙ্কস), এনাম উদ্দিন (কুইন্স), রোকসানা চৌধুরী (কুইন্স), নাহিদ সুলতানা (লংআইল্যান্ড), শাহ আলম তালুকদার (কুইন্স), আবদুল হক (কুইন্স), সাঈদা আক্তার (কুইন্স), রুবাউতুন নেসা (কুইন্স), রাইয়ান আহমেদ (ব্রঙ্কস), ফিরোজ কবীর (কুইন্স), সাগর নন্দী (কুইন্স), বিদ্যাচরণ দত্ত (কুইন্স), শাহ জালাল সরকার (কুইন্স), আব্দুল হামিদ (কুইন্স), দেওয়ান সিহদরাতুল মুনতাহার (কুইন্স), গৌরাঙ্গ চন্দ (কুইন্স), নীরঞ্জন মল্লিক (কুইন্স), আব্দুল গণি (কুইন্স), জালাল উদ্দিন (কুইন্স), আবু তাহের (কুইন্স), জাহানারা বেগম (কুইন্স), শাহাদাত হোসেন কাজী (কুইন্স), দেওয়ান শহীদুল্লাহ (কুইন্স), মোহাম্মদ আলী (কুইন্স), তজম্মল আলী (মিশিগান), আলী আহমেদ (ব্রæকলিন), মোহাম্মদ টি এম মজিবুর রহমান চৌধুরী (কুইন্স), তালেব আহমেদ চৌধুরী (মেরিল্যান্ড), হাফেজ আহমেদ মোল্লা (ব্রæকলিন), এবাদ হোসেন (কুইন্স), খন্দকার মোসাদ্দেক আলী সাদেক (কুইন্স), শাহজালাল সরকার (কুইন্স), আনোয়ারা বেগম (কুইন্স), শাহ আলম তালুকদার (কুইন্স), শওকত হাসান সোয়েব করোনায় (কুইন্স), খন্দকার মোসাদ্দেক আলী সাদেক (কুইন্স), সমীর দেব নাথ (কুইন্স), মুনা নাসরিন (ব্রæকলীন), সাইফুল ইসলাম খান বাবুল (কুইন্স), বাবুল ইসলাম (কুইন্স), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সারেং (ব্রæকলীন), আব্দুল খালেক (ব্রæকলীন), আব্দুস সালাম খান (কুইন্স), শফি হায়দার খান (কুইন্স), সায়ফুর হায়দার খান (কুইন্স), আতাউর রহমান চৌধুরী আলতা (কুইন্স), ডা. আবদুজ জাহের (বাফেলো), ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যু দাস (স্ট্যাটেন আইল্যান্ড), মোহাম্মদ আলী (কুইন্স), ফিরোজ কবীর (কুইন্স), হাজী শরিয়ত উল্যাহ (ব্রæকলীন), আব্দুর রাজ্জাক (কুইন্স), মাওলানা শাফিউর রহমান (কুইন্স), মোহাম্মদ ইউছুপ আলী (ব্রুকলীন), আক্তারুজ্জান (লংআইল্যান্ড), সৈয়দ ফারুক আহমেদ (কুইন্স), রাবেয়া খাতুন (কুইন্স), মেহেরুন্নেছা (কুইন্স), বাবলী নেওয়াজ (কুইন্স), মহিউদ্দিন (কুইন্স), ফরিদ আহমেদ ছাইদুল (কুইন্স), মিজানুর রহমান (ব্রঙ্কস), কে এম মনিরুজ্জামান (কুইন্স), তারেক মালিক (কুইন্স), মাওলানা আব্দুন নূর খান (লংআইল্যান্ড), জিয়াউল আহসান (ব্রঙ্কস), সিরাজুল মনির (মিশিগান), মোহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ (ব্রæকলীন), মোজাফ্ফর ইসলাম (ব্রæকলীন), মোহাম্মদ মোছাব্বির আলী (নিউজার্সি), ময়েজ উদ্দিন (কুইন্স), বিবি আয়শা (ব্রæকলীন), পারভীন জাফর (ব্রæকলীন), মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুপ (ব্রæকলীন), লোকনাথ সোম (কুইন্স), একে এফ হাসান (কুইন্স), আলী হোসেন বেপারি (কুইন্স), মোশাররফ হোসেন দেওয়ান (কুইন্স), বাহাত্তান সরকার (কুইন্স), মোহাম্মদ মফিজউদ্দিন (কুইন্স), আমিরুন নেসা খাতুন (ব্রঙ্কস), মোহাম্মদ জায়েদ (কুইন্স), ইঞ্জিনিয়ার সুজাউর রেজা চৌধুরী (কুইন্স), প্রিয়ম বণিক (ব্রঙ্কস), কামাল হোসেন সালেহ (কুইন্স), সৈয়দ কামরুল বাশার জামি (বস্টন), রাশেদা আহমেদ মুন (কুইন্স), ডাক্তার ফারুক আহমেদ (আপস্টেট, ওরেঞ্জ কাউন্ট্রি), ফরিদ উদ্দিন ভ‚ঁইয়া (কুইন্স), হারুণ অর রশীদ (কুইন্স), সুরাইয়া আহমেদ (লংআইল্যান্ড), মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (কুইন্স), এ কে এম ফজলুল হক (কুইন্স), আব্দুল কাদের মাখন (নিউজার্সি), রথীন্দ্র নাথ কুমার (কুইন্স), রিপন মোল্লা (কুইন্স), সমীর দেব (কুইন্স), হাজী কয়সর আহমেদ (কুইন্স), নূরুল ইসলাম শুকুর (ব্রুকলীন), হাজী ছওয়াবুর রহমান (কুইন্স), আলিফজান নেসা (কুইন্স), নূর জাহান বেগম (ব্রঙ্কস), মোহাম্মদ মাহবুবুল হক (কুইন্স), নজরুল ইসলাম (কুইন্স), হাজী আব্দুল হাফিজ দুদু মিয়া (কুইন্স), শামসুল হক (বোস্টন), হাজী মোহাম্মদ আবু তাহের (কুইন্স), তাসমিন নাওয়ার তমা (লংআইল্যান্ড), আলতাফ হোসেন ননী মিয়া (কুইন্স), নূর উদ্দিন (কুইন্স), সাব্বির খান (ব্রঙ্কস), রাশেদা বেগম (কুইন্স), মোহাম্মদ এ সামাদ (কুইন্স), কাজী মোস্তফা (কুইন্স), মোহাম্মদ হক (কুইন্স), মাওলানা মুজাহিদ আলী (কুইন্স), এ কে এম ফজলুল হক (লংআইল্যান্ড), ফখরুজ্জামান অপু (ব্রæকলীন), মুহিবুর রহমান (ব্রæকলীন), মোহাম্মদ পারভেজ (কুইন্স), সৈয়দ রশীদ মুন্না (কুইন্স), গোরাঙ্গ বিশ্বাস (লংআইল্যান্ড), দরবার হোসেন (কুইন্স), শামসুন নাহার (ব্রুকলীন), নেহারুল নেসা (কুইন্স), হাজী ফইজ উদ্দিন (কুইন্স), তৈয়বুর নূর ব্রুকলীন), জাকের আহমেদ (কানেকটিকাট), মহসীন আহমেদ বাবলু (মিশিগান), শেখ আব্দুর রাজ্জাক (ব্রæকলীন), শাহরিয়ার রহমান নাবিল (বাফেলো), মুজিবুর রহমান মজনু মিয়া (কুইন্স), এম এ সালাম (বাফেলো), মোহাম্মদ মুস্তফা (কুইন্স), মোহাম্মদ হাসির (কুইন্স), স্বপন কুমার দাস (কুইন্স), ড. সিরাজুল ইসলাম (কুইন্স), ডা. কাজী জিয়াউদ্দিন (স্টেটেন আইল্যান্ড), ফয়জুর আহমেদ (কুইন্স), আব্দুল বাসিত (কুইন্স) প্রমুখ।