করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের ফুসফুস স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা করছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। রোগটি সারার পরও ফুসফুসে এর স্থায়ী প্রভাব থেকে যেতে পারে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফুসফুসে এ ধরনের ক্ষতিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পালমোনারি ফাইব্রোসিস বলা হয়। এ ক্ষতি আর সারানো যায় না। ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ক্লান্তি দেখা দেয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানিয়েছে, তারা এই রোগীদের জন্য বিশেষায়িত পুনর্বাসন কেন্দ্র খুলছেন। করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার ছয় সপ্তাহ পর করা এক্স-রেতে ফুসফুসে মোটা সাদা দাগ দেখা গেছে, যা পালমোনারি ফাইব্রোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ নির্দেশ করে। ব্রিটিশ সোসাইটি অব থোরাসিক ইমেজিংয়ের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রয়েল
কলেজ অব রেডিওলজিস্টসের উপদেষ্টা ডা. স্যাম হেয়ার বলেন, এ মুহূর্তে আমরা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারি না। তবে সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনি আশা করবেন যে স্ক্যানের ফল স্বাভাবিক আসবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ১২ সপ্তাহের মাথায় আবার এক্স-রে করে দেখা হবে যে ফুসফুসে সেই ক্ষতটি রয়েছে কিনা।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসে প্রভাব নিয়ে গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি। তবে রোগের প্রকোপ অল্প হলে স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। গত মার্চে প্রকাশিত চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ৭০ রোগীর মধ্যে ৬৬ জনেরই ফুসফুসে কোনো না কোনো ক্ষত রয়ে গেছে।