বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম সুমন (৩২) বলে জানা গেছে। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়।
কিন্তু ঘটনাটি নিয়ে স্বয়ং উদ্ধারকারীরাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এটা অবশ্যই মিরাকল। কিন্তু কিভাবে সম্ভব হলো সেটাও ভাবার বিষয়।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দক সোমবার রাতে আমাদের সময় অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতরে কিভাবে ওই ব্যক্তি এত দীর্ঘ সময় জীবিত ছিলেন তা অবশ্যই ভাবার বিষয়।’
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই আসলে বোঝা যাবে কিভাবে এটা সম্ভব হলো। তার আগে কোনো ধারণাই করা সম্ভব নয়। ওখানে তিনি কিভাবে ছিলেন সেটা যাই ধারণা করা হোক, কিন্তু থেকেই যাচ্ছে, কারণ সময়টা আসলে অনেক বড়, ১৩ ঘণ্টা।’
প্রসঙ্গত, ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে শ্যামবাজারের কাছে নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।