শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটিতে থাকা অনেক শিল্পীই এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। যাদের মধ্যে রয়েছে রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, পপি, নিপুণসহ আরো অনেক তারকা। নির্বাচনে না এলেও শুক্রবার বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় প্রচারণায় দেখা গেছে রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপিকে।
শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের প্রবেশ পথে তাদের তিনজনকে ভোট চাইতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে অভিনেত্রী পপি বলেন, আসলে শিল্পীদের জন্য কাজ করার জন্যই তো নির্বাচন। আমি চাই এমন মানুষ জয়ী হোক, যারা সত্যিকার অর্থে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করবে।
নিজে নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে কমিটি বিলুপ্তি হবে, আমি তার সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নিজের মতো করে কাজ করতে পারিনি। উল্টো আমাদের সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছ থেকে নানা মিথ্যা অভিযোগ শুনতে হয়েছে। একারণেই নির্বাচনে আসতে ইচ্ছে হয়নি। তাছাড়া কোনো প্যানেল থেকে আমাকে ওইভাবে বলাও হয়নি। আমি চাইবো এবার যারা জয়ী হবেন, তারা যেন কোনো প্রকার দূর্নীতিতে না যুক্ত হয়। এবং শিল্পীদের রাজনীতি মুক্ত থাকতে সহায়তা করেন। কারণ রাজনীতি শিল্পীদের কাজ না।
রিয়াজ বলেন, বর্তমানে যারা শিল্পী সমিতিতে রয়েছেন। তারা ভালো কাজ করতে পারেনি। তাই আমি তাদের সাথে নেই। তাই এবার নির্বাচন থেকে দূরে আছি। আমি মনে করি এবার মৌসুমী সভাপতি নির্বাচিত হলে শিল্পীরা তাদের মনের মতো একজন অভিভাক পাবেন।
ফেরদৌস বলেন, ‘ভালো, যোগ্য প্রার্থীকে যেনো সবাই ভোট দেন সেটাই সবাইকে বলছি। আমি চাইনা শিল্পীদের প্রতিনিধি হয়ে কেউ মন্দ কাজ করুক। যখন সমিতির মধ্যে দায়িত্বশীল কোনো নেতা কোনো কোনো সিনিয়র শিল্পীকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তখন বিষয়টি ভালো লাগে না। আমি চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো কেউ আসুক।’
এর আগে, ২০১৭ সালের ৫ মে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মিশা-জায়েদ প্যানেল পাস করে। কমিটি গঠনের কিছুদিন পর ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে বিজয়ী কার্যকরী পরিষদের সদস্য মৌসুমী ও নানা শাহ পদত্যাগ করলে কমিটির দুটি পদ শূন্য হয়। পরবর্তীকালে সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের মিটিংয়ে পাস করার মধ্য দিয়ে ওই দুটি পদে নিপুণ ও নিরবকে নেয়া হয়।