করোনা সংক্রমণের লাগাম টানতে পারছে না ভারত। প্রতিদিন মহামারি এ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দেশটিতে মোট করোনা শনাক্ত পেরিয়ে গেছে ৭ লাখ। বৈশ্বিক করোনা শনাক্তের দিক থেকে ইতোমধ্যে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে ভারত।
মঙ্গলবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানায়, দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ২০ হাজার ১৬০ জন। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৪ হাজার ২৪৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে করোনাভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৪৬৭ জনের।
আক্রান্ত ও মৃ্ত্যুর দিক থেকে দেশটিতে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য। এ রাজ্যে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। আর এ রাজ্যে মারা গেছে ৯ হাজার ২৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় তামিলনাডু রাজ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৭ জনের। এ রাজ্যে করোনায় প্রাণ গেছে ১ হাজার ৫৭১ জনের।
তৃতীয় রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮২৩ জন। তবে এ রাজ্যে প্রাণহানি বেশি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেয়ে। দিল্লিতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ১১৫ জন।
এছাড়া গুজরাটে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৯৬০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬১.৩২ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৮ জন। এতে এখন সক্রীয় রোগী রয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৫৭ জন।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান মতে, ৩০ জানুয়ারি কেরালায় দেশের প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর গত সাড়ে পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। এরমধ্যে আক্রান্ত এক থেকে এক লাখে পৌঁছতে লেগেছিল ১১০ দিন। এরপরই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। সংক্রমণ এক লাখ থেকে দু’লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১৫ দিন। দুই থেকে তিন লাখে পৌঁছতে ১০ দিন লেগেছে। চতুর্থ লাখ ৯ দিনে, পঞ্চম লাখ ৬ দিনে সংক্রিমত হয়। এরপর পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখে পৌঁছতে লেগেছিল ৫ দিন। আর ৬ লাখ থেকে ৭ লাখে পৌঁছতে লাগল মাত্র চারদিন।