বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

চীন ‘ধামাচাপা’ দিয়েছে করোনার ভয়াবহতা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০
  • ২৩১ বার

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার তথ্য চীন ধামাচাপা দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে করোনা ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বলে শুরু থেকেই বলে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার এ বিষয়ে কথা বললেন হংকং থেকে পালিয়ে নিজের জীবন বাঁচানো ভাইরোলজিস্ট ও ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ লি-মেং ইয়ান। তিনি বলছেন, ‘চীন সবার আগেই এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জেনেছিল। কিন্তু এর তথ্য দেশটি বেমালুম চেপে যায়।’

এই ভাইরোলজিস্ট বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। লি-মেং ইয়ান বলেন, ‘সবার আগে এই মারণ ভাইরাস সম্পর্কে জেনেছিল চীন। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। শুধু তা-ই নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা প্রফেসর মালিক পেইরিসের কাছেও বিষয়টি অজানা নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনিও কোনো রকম হেলদোল দেখাননি।’

ইয়ান বলেন, ‘উহান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগেই এটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন তিনি। বুঝতে পারেন এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতাও। তবে কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায় তার উত্তর যখন তিনি খুঁজতে শুরু করেন তখন বাদ সাধে সরকার। একের পর এক হুমকি ফোন আসতে থাকে, হ্যাক করা হয় কম্পিউটার, শুরু হয় নজরদারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতাম পালিয়ে না এলে আমাকে খুন করা হবে। চীনের যেসব ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস নিয়ে চর্চা করছিলেন তারা সবাই একে একে নিখোঁজ হন। পরে তাদের মৃত্যুর খবর আসে। ফলস্বরূপ ভয়ে মুখ বন্ধ করতে বাধ্য হন ডাক্তাররা।’

করোনা ভাইরাসের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনা উহানের ডাক্তার ওয়েনলিয়াঙের কথা সাক্ষাৎকারে তুলে ধরে এই ইয়ান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মুখ খোলায় রাতারাতি নিখোঁজ হন ডাক্তার ওয়েনলিয়াঙ। পরে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। বলা হয়, করোনা আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’

ডা. লি মেং ইয়ান হংকংয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। ২৮ এপ্রিল হংকং থেকে তিনি পালিয়ে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com