জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট তৈরির অভিযোগসহ চার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবরিনা চৌধুরীকে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা মামলার ডকেট ও আসামিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এই মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পাওয়া ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
এর আগে ডা. সাবরিনা এ চৌধুরীকে রোববার দুপুরে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে জেকেজি হেলথ কেয়ারের করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতিসহ তাকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল তাকে আদালতে তুলে চার দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সদ্য বরখাস্ত এ রেজিস্ট্রার ও কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ওরফে সাবরিনা মিষ্টি চৌধুরী জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী। আরিফ নিজেও এসব মামলায় কারাগারে আছেন।
গত ২৩ জুন করোনার মনগড়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানা পুলিশ আরিফসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযান তদারকি করেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ। গ্রেপ্তারের পর থানা-হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুরের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকেও। এসব ঘটনায় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়।