বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এই অভিযান শুরু হয়।
জানা গেছে, দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে র্যাব সাহেদকে নিয়ে ওই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তিনি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা ছিলেন। এর আগে ১২টা ১৫ মিনিটে ওই ভবনে র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম প্রবেশ করেন।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে ভবনটি ঘিরে রাখে র্যাব। র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে নিয়ে এই ভবনের ৪(এ) নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তবে এটি সাহেদের নিজস্ব ফ্ল্যাট কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে সাহেদকে ঢাকায় আনার পর র্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উত্তরার এই বাসায় অভিযান চালানো হয়।
কী কারণে সেখানে অভিযান চলছে-জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘এটা সাহেদের দ্বিতীয় অফিস।’
এই ফ্ল্যাটের খবর আগে পায়নি র্যাব। সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে এই ফ্ল্যাটের হদিস মেলে বলেও জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় এক সপ্তাহ ধরে পলাতক ছিলেন মো. সাহেদ। অবশেষে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে বুধবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সাহেদ বোরকা পরে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ৬ ও ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান দপ্তরে র্যাবের অভিযান চালায় র্যাব। কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনাভাইরাস চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা র্যাবের মামলায় বলা হয়েছে, ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে প্রায় ৬ হাজার লোকের কাছ থেকে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আদায় করেছে রিজেন্ট। ওই মামলায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।