শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

বন্যাকবলিত জেলায় ত্রাণের কষ্টই বেশি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
  • ২২২ বার

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দু-একটি জেলায় সামান্য উন্নতি হলেও গতকাল অবনতি হয়েছে শেরপুর, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, জামালপুর জেলায়। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জ জেলায়। পানি বেড়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ডুবে গেছে জামালপুর, শেরপুর ও গাইবান্ধায়। তবে গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আজ রোববারের মধ্যে উন্নতি হতে পারে। জেলাগুলো হচ্ছে- সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ। একই সঙ্গে মধ্যাঞ্চলের ৫ জেলার বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে স্থিতিশীল। ওই কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত গত কয়েক দিনে কিছুটা কমায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দ্বিতীয় দফার এ বন্যায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ত্রাণনির্ভর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। কেননা, বন্যাকবলিত এলাকায় এখন বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকটে এক রকম দিশাহারা বন্যার্তরা। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থাও। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার এখন দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েই বেশি চিন্তিত। ইতোমধ্যে বন্যায় ১৮ জেলার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ নিয়েই ভাবছে সরকার। ইতোমধ্যে বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোয় ৮ হাজার ২১০ টন চাল, ২ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্য কেনার জন্য ৪৮ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ৪৮ লাখ টাকা খরচ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের পানিবন্দি ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৬টি পরিবারের ২২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় জামালপুরে চারজন এবং লালমনিরহাট, সুনামগগঞ্জ, সিলেট ও টাঙ্গাইলে একজন করে মোট আটজন মারা গেছেন। মোট ৯২টি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৩৫।

ত্রাণ সচিব বলেন, বর্তমান দেশের ১৮ জেলা বন্যা আক্রান্ত। বন্যা আক্রান্ত এসব জেলায় আমাদের বাড়তি নজর দিতে হচ্ছে। দুর্যোগ যেখানে সেখানেই সরকার মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

শেরপুর : বন্যার পানি বাড়ায় শেরপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকাল থেকে ক্রমান্বয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করে। এতে শেরপুর-জামালপুর সড়কের একটি ব্রিজের মাটি ধসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ পথটি শেরপুর থেকে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করতে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, সময় যত গড়াচ্ছে পানির স্রোত ততই বাড়ছে। এখন ডুবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করছে না। তবে বিকল্প সড়ক হিসেবে বলায়েরচরের ভেতর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামালপুর : জামালপুরে যমুনার পানি সামান্য কমলেও হু হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। এতে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরের কমপক্ষে ৫০ গ্রাম নতুন করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের ১০টি স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় হাজরাবাড়ি পৌরসভাসহ অনেক এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহের বন্যায় জেলার প্রায় ৯ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নের যোগাযোগ একেবারেই ভেঙে পড়েছে।

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচরে সাদিয়া নামের এক ১২ বছর বয়সী শিশু ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ এলাকায় সাজু নামে সাত বছরের এক শিশুর মারা যায়। এ নিয়ে জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই দফায় ১৭ জনের মৃত্যু হলো।

গাইবান্ধা : জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়ার তীরবর্তী গাইবান্ধার চার উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ পানিবান্দ। পানি কমেছে সামান্য। গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি এলাকায় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ ডুবে গেছে। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমলেও গতকাল সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ : পদ্মা নদীতে পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় হরিরামপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির স্রোতে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের তিনটি স্থান ধসে গেছে। সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলা সদরে চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজারের বেশি পরিবার। উপজেলা পরিষদ চত্বর, হরিরামপুর থানা প্রাঙ্গণ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি উঠেছে। এদিকে সাটুরিয়ার তিল্লি ও বরাইদ ইউনিয়নের ৩ গ্রামে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িসহ আবাদি ফসল ধলেশ^রী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরও তিনটি গ্রামসহ, স্কুল, মসজিদ। ভাঙনের কবলে রয়েছে আরও ৪টি গ্রাম। এদিকে তলিয়ে গেছে কৃষকের ১২০ হেক্টরের ভুট্টা।

কুড়িগ্রাম : দ্বিতীয় দফা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট ও নাগেশ্বরীবাসী। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি সামান্য কমলেও এখনো বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চেলেছে এ অবস্থায় জেলার ৯ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের ২ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরপুর (ফরিদপুর) : সদরপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ পয়েন্টে বন্যার পানি গতকাল শনিবার ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় আকোটেরচর ও ঢেউখালী ইউনিয়নে নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়ন প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকার নলকূপ ডুবে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : টানা ৮ দিন বাড়তে থাকার পর যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি কমে আবারও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বন্যাকবলিত চার উপজেলার ২ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

বগুড়া : সোনাতলায় যমুনা নদীতে ১০ সেন্টিমিটার পানি কমলেও বিপদসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বাঙালী নদীতে ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দি মানুষগুলো তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে।

মুন্সীগঞ্জ : লৌহজংয়ের পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৩২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজারের বেশি পরিবার। একদিকে পানি বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে পদ্মায় ভাঙনে দিশাহারা চরাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে।

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টায় পদ্মায় পানির প্রবাহ ছিল ৬ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপরে। দুপুর ১২টায় ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ ছিল ৬ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। দুপুরের প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে। আর ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহের বিপদসীমা হলো ৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা নদীর পানি পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছি। ফলে গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও পাংশা উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত আছে নদীভাঙনও। নদীভাঙন এলাকার বাসিন্দারা মহাসড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে।

শিবচর (মাদারীপুর) : পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদীর পর এবার শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদেও ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নসহ উপজেলার ৬ ইউনিয়নে নদীভাঙনের ব্যাপকতা বেড়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙন আক্রান্ত হওয়ায় ২৪ ঘণ্টায় চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ ও ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়সহ চরের শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলার ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি, ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ আক্রান্ত হলো।

-প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন জামালপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক আতিকুল ইসলাম রুকন, কুড়িগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক মোল্লা হারুন উর রশীদ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি আশরাফুল আলম লিটন, শেরপুর থেকে সাবিহা জামান শাপলা, গাইবান্ধা প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি নাদিম হোসাইন, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি সম্পা রায়, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রভাত কুমার সাহা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com