বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে এক নারীসহ চারজন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত তারা মারা গেছেন বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে দুজন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টিএমএসএসে এক নারী মারা যান।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন মুনছুর আলী (৬৫) নামের এক রোগী। গত ১৯ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদ্রাসাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং চাল ব্যবসায়ী ছিলেন।
এ ছাড়া একই হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মারা গেছেন বগুড়া শহরের বাদুড়তলা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। ডিপজল পরিবহনের টিকিট মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম গত ২৫ জুন টিএমএসএস এ নমুনা পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ৩০ জুন বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ ওই দুই রোগীর মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খায়রুল বাশার মমিন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণ চন্দ্র নামের এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বাসিন্দা। গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হন নারায়ণ চন্দ্র। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী ছিল। ভর্তির পর শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানেই মারা যান।
এদিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মারা গেছেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন নারী। দীপালি সাহা (৬৫) নামের ওই গৃহিণী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দক্ষিণ সাহাপাড়ার বিনয় বিহারী সাহার স্ত্রী।