চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার হাজারও মানুষের দুর্ভোগের আরেক নাম ছনুয়া শেখেরখীলের ফাঁড়ির মুখের বেইলি সেতু। সেতু নয় যেন মরণফাঁদ। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে দুই গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করছেন।
এই সেতুটি কাল্লার পোয়ার ব্রিজ নামেও এলাকায় পরিচিত। এই বেইলি সেতুটি দীর্ঘ ২০০ ফুট বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে শেখেরখীলও ছনুয়া ইউনিয়ন অবস্থিত। এই এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরা মাছ ও লবণ চাষের ওপর নির্ভরশীল। তাই এলাকার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই বেইলি সেতুটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তাই এ বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লবণ ব্যবসায়ী ও মাছ ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। গত দুই বছর ধরে এই বেইলি সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে বলে স্থানীয়ারা জানান।
শনিবার বিকালে স্থানীয় একটি স্বপ্নচুড়া নামের সংগঠনের ব্যানারে বেইলি সেতুটি সংস্কারের জন্য মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এই বেইলি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় গত দুই বছরে প্রায় অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো আবেদন জানান তারা।
এ ব্যাপারে শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন তালুকদার জানান, সেতুটির জন্য বেশ কয়েকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে বলেছি। গত উপজেলা সমন্বয়সভায় সেতুর সংস্কারের জন্য একটা প্রস্তাব রেখেছিলাম।
এ ব্যাপারে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ফাউন্ডে টাকা থাকা সত্ত্বেও ওরা টাকা ছাড় না দেয়ায় এখনও পর্যন্ত সেতুর সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার যুগান্তরকে জানান, শেখেরখীল ছনুয়ার ফাঁড়ির মুখ এলাকার বেইলি সেতুটির ব্যাপারে আমি গত দেড় মাস আগে এলজিইডি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে বলেন, আগামী অর্থবছরের মধ্যে এই সেতুটির দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করবেন।