আজ রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর। ২০০৬ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ১৩ জন। রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছয়জন এবং ছাত্রমৈত্রীর একজন কর্মী প্রাণ হারান।
লগি-বৈঠার নির্মম প্রহার, গুলি আর ইটপাটকেলের আঘাতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় নিহত হন ছয়জন। ওই দিন প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যার পরে লাশের ওপর নৃত্য করা হয়, যা সারা বিশ্বের মানুষকে হতভম্ব করেছে। এই ঘটনায় পল্টন ও শাহবাগ থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের হতাহতের ঘটনা ঘটে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আহূত অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে। ওই দিন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে রাস্তায় মহড়া দিতে দেখা যায় পেশাদার সন্ত্রাসীদের।
ওই দিন জামায়াত-শিবিরের নিহত নেতাকর্মীরা হলেন মোজাহিদুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন (১), জসিম উদ্দিন (২), গোলাম কিবরিয়া শিপন, ফয়সাল ও হাবিবুর রহমান। প্রকাশ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সামনে এদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে দুর্বৃত্তদের লাশের ওপরে উঠে নাচতে দেখা যায়। জামায়াতের আহত অপর একজন সাইফুল্লাহ মো: মাসুম ঘটনার দু’দিন পর হাসপাতালে মারা যান। একই সময় পল্টন মোড়ে নিহত হন ছাত্র মৈত্রীর খিলগাঁও থানা সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান। সহিংস ঘটনায় পল্টন ও এর আশপাশের এলাকাতেই আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ।