আসন্ন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলেও রাতারাতি নীরবে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করে নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সিএনএন।
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বলেছেন, ‘আমি জনগণকে ভীত করতে চাই না। কিন্তু আপনাদের প্রস্তুত থাকতে বলব। এটা বিশ্বাস করার জন্য আমার কাছে যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, নির্বাচনে হেরে গেলেও রাতারাতি খুব সহজে ট্রাম্প ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না। তিনি আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন। সব ধরনের আইন ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।’
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি দাবি করেছেন, ‘ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে তিনি (ট্রাম্প) তার অন্তরঙ্গ বন্ধু অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারকে প্রস্তুত রেখেছেন।’ শুক্রবার এক প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের শঙ্কা ও বিশ্বাসের আলোকে এসব দাবি করেন হিলারি ক্লিনটন।
ভোটে জালিয়াতি হবে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ বছরের নির্বাচনের আইনি বৈধতা নিয়ে ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প নির্বাচনের ফল বর্জন করতে পারেন জানিয়ে ইতোমধ্যে সতর্কও করেছেন দেশটির রাজনৈতিক মহলের নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিসে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দের বিরোধী। আগামী নির্বাচনে মেইল-ইন-ভোটিং পদ্ধতির ব্যবহার তিনি চান না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে মেইল-ইন-ভোটিং একটি স্বীকৃত ভোটগ্রহণ পদ্ধতি। করোনার কারণে এ বছর মানুষ এতে বেশি আগ্রহী হবেন বলেই জরুরি তহবিল প্রয়োজন।
ট্রাম্প জানান, এ সংক্রান্ত কোনো বিল কংগ্রেসে উত্থাপিত হলে তিনি তাতে ভেটো প্রদান করবেন না। তবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই মেইল-ইন-ভোটিংয়ের কারণে নির্বাচনে জালিয়াতি হতে পারে বলে পূর্বের মতো আবারও অভিযোগ তুলে নির্বাচনের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
মেইল-ইন-ভোটিং নিষিদ্ধ করার চেষ্টারত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটা তার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে নির্দলীয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেইল-ইন-ভোটিং হলে কোনো দলেরই স্বয়ংক্রিয় সুযোগ নেওয়ার কোনো উপায় নেই আর এর আগে এমনটা হয়েছে তার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।