যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে গত শুক্রবার থেকে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের মানুষকে পাঠানো হচ্ছে ‘মেইল ইন’ ভোটের কাগজপত্র। সেখানে ভোটগ্রহণের আগে ট্রাম্প ভোটারদের দুইবার ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেআইনি প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধে নিহতদের নিয়ে পুরনো একটি বিরূপ মন্তব্য সামনে আসায় চাপে আছেন ট্রাম্প। নিহত সেনাদের তিনি ‘লুজার’ ও ‘সাকার’ বলেছিলেন। খবর ডয়েচে ভেলে ও বিবিসি।
কারচুপি ঠেকাতে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনার ভোটারদের দুইবার ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একবার ডাকযোগে, একবার সশরীরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে। তার মতে, একমাত্র এভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা যাচাই করা সম্ভব। সেই প্রক্রিয়া নিখুঁত হলে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার পর কোনো ভোটার দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। নর্থ ক্যারোলাইনার মতো কিছু রাজ্যে শুধু একাধিকবার ভোট দেওয়াই বেআইনি নয়, কাউকে সে কাজে উৎসাহ দেওয়াও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেমোক্রেটিক দলের সদস্য জশ স্টাইন এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ এনেছেন।
অন্যদিকে যুদ্ধে নিহত সেনাদের নিয়ে মন্তব্য করে বেশ চাপে আছেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পশিবির বলছে, এমন মন্তব্য ট্রাম্প করেননি। জানা গেছে, দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রথম ট্রাম্পের বেফাঁস মন্তব্যের খবর বের হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৮ সালে প্যারিসসংলগ্ন মার্কিন সমাধিক্ষেত্রে সফর বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে শায়িত যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের ট্রাম্প ‘লুজার’ ও ‘সাকার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একই সফরের সময় বেলেউ উডে নিহত ১৮০০ মার্কিন সেনাকে ‘সাকার’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
যুদ্ধাহত পরিবারগুলো ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। যুদ্ধে নিহত সেনাদের পরিবারের একজন ট্রাম্পের উদ্দেশে বলছেন, ‘আপনি জানেন না। এই ত্যাগের মূল্য কী।’ ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কারণে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য বলে দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। বাইডেন বলেন, ‘ওই খবর যদি সত্য হয়, দৃশ্যত এটাকে সত্য বলেই মনে হচ্ছে, তা হলে তা চরমভাবে নিন্দার বিষয়। এটা ভয়াবহ হতাশার বিষয়।’
ইরাক যুদ্ধের সময় দু পা হারিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ। তিনি বলেছেন, নিজের অহংকার প্রকাশ করার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।