বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিয়ম বহির্ভূত কোন কর্ম কারোর জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি সব কিছুই একটি নিয়মের মধ্যে চলবে এটাই স্বাভাবিক। সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে যারা স্বেচ্ছাচারিতা বা স্বৈরাচারি মনোভাব পোষণ করবে তারা বেশি দূর এগোতে পারবে না। তাদের কর্মই তাদেরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে রাষ্ট্র বা কোন প্রতিষ্ঠানকে বেশি দিন পরিচালনা করা যায় না। নিয়মের বাইরে যারা চলবে তারা নিশ্চই একদিন হারিয়ে যাবে।
আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর উত্তরা বাসভবণে সৈজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দেয়ার কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় দলের মহাসচিব নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সঠিক ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল সহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করার আহ্বান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ সদ্য অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে আমন্ত্রন করলে, তিনি তাতে সম্মতি জানান।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৩০ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার ঘোষণা করা হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই কমিটির শেষাংশে উল্লেখ রয়েছে যে অনুমোদিত আংশিক কমিটি মিয়াদ উত্তীর্ন বিধায়, অত্র কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন করবে শর্তে পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হলো।