বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

আদালতকে ‘কসাইখানা’ বানিয়েছে সরকার: রিজভী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২০১ বার

দেশের আদালতকে সরকার কসাইখানায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে তারানা হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা কুৎসা রটনার জন্য নির্মিত নাটক ‘ইনডেমনিটি’ গণমাধ্যমে প্রচারের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘এই সরকারের আমলে এই মামলা ওরা কখনোই টিকতে দেবে না। কারণ কোর্ট তাদের, আদালত তাদের। এই আদালতগুলোকে তারা (সরকার) কসাইখনায় পরিণত করেছেন বিরোধী দলকে দমন করার জন্য, শাস্তি দেওয়ার জন্য। এই সরকার ডিক্টেটর নয়, নাৎসীবাদের পর্যায় চলে গেছে। ডিক্টেটরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে পতন করা যায় কিন্তু নাৎসীবাদকে পতন করতে হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো একটা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে-এরকম একটি বিষয়ের প্রয়োজন হয়। ফ্যাসিবাদ ও নাতসীবাদ-এদেরকে ঠেকাতে গিয়ে কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল।‘

মামলাটি দায়েরের জন্য ছড়াকার আবু সালেহকে ‘সাংস্কৃতিক বীর’ বলে অভিহিত করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের সাথে জনগণ নেই। দুই ঠ্যাং বা পায়ের ওপর নির্ভর করে আছে তারা। একটা হচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী আরেকটা হচ্ছে তাদের সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।‘

তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ওই পরজীবীদের যদি আমরা প্রতিহত করতে না পারি দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে না। এখন বলা হয় প্রয়াণ দিবস। আমরা ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি মৃত্যু দিবস। আমরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেউ মারা গেলে তাকে মরহুম বলে। এখন প্রয়াত বলা হয়। এটা খুব সুক্ষ্ণভাবে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনগুলো বিস্তার লাভ করাচ্ছে। কার স্বার্থে করছে তা নিশ্চয় জানেন? কোন সংস্কৃতিকে অঙ্গীভূত করার জন্য এই সরকার এবং তাদের অনুগত সংস্কৃতিজীবীরা কলাম লেখকরা এই কাজটি করছে সেটা আপনারা স্পষ্টভাবে জানতে চান। ওরা আমাদের দীর্ঘদিনেরে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এটাকে ধবংস করে, অন্য কোনো দেশের  সাংস্কৃতিক অনুসঙ্গ বানাতে চান, এর অঙ্গীভুত বানাতে চান। সেই কারণে আজকে তারা এই কাজগুলো করছে।‘

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com