সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লোমহর্ষক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তা সমস্ত জাতিই শুধু নয়, আমার মনে হয় সমস্ত বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। শুধু নোয়াখালীর ঘটনাই নয় গত কয়েক মাসে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নারীর শ্লীলতাহানী, নারীর উপর নির্যাতন এটা এখন এই সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিনত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে এই সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে তারা বিভিন্ন দিকে মানুষের চোখ ডায়ভার্ট করছে। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি কিন্তু সরকার কোনো কর্নপাত করেনি। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকার রাতের আধারে জোর করে জনগণের ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি এবং ভাবি মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাস করা উচিৎ তারাই পারবে একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে। আজকে আমরা যারা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে এখনো বন্দি আছে। আজকে তিনি অসুস্থ কিন্তু তার যেটা প্রাপ্য সেটা তাকে দেয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আজ দেশের বাহিরে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আজকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েক শ’ নেতাকর্মী।