ধর্ষণের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমি বলতে চাই অনতিবিলম্বে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা আসুক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে যত গায়েবি মামলা হয়েছে, সেসব মামলার কার্যক্রম বন্ধ করা হোক। ট্রাইবুনাল গঠন করে ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হোক। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা বন্ধ করে এটার (ধর্ষণের) মামলার দিকে নজর দেয়া হোক। মৃত্যুদণ্ডের ভাওতাবাজি দিয়ে মানুষকে আর ভুল পথে নেয়া যাবে না।
সোমবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যতই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন মৃত্যুদণ্ড করুক, এটা ভাওতাবাজি প্রতারণা। এই প্রতারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো। এটাই আমাদের শপথ। এই লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।
আলাল বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি উচ্চ আদালতে দুই হাতছাড়া পঙ্গু লোক, জন্ম থেকে অন্ধ লোক তাদেরকেও গায়েবি মামলা হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করে সরকারের হাতে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলার তালিকা দিয়েছিলাম। সরকার জানিয়েছিল, ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার এমন ব্যবস্থা নিয়েছে যে- ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে, বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে। নেতাকর্মীদেরকে লক্ষ লক্ষ মামলায় আবারো আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, নারী ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ, ব্যাংক লুটকারীদের নির্বাসনে পাঠানো হবে। এদেরকে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসনে পাঠাতে হলে,দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন করা প্রয়োজন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা।