সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

এসআই আকবরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ২০২ বার

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া যেন দেশত্যাগে করতে না পারেন, সেজন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সীমান্তে কর্তব্যরত পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও বিস্তির্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ জন্য দেশের অনান্য সীমান্তের পাশাপাশি বেনাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বিজিবি সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘এসআই আকবরের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে একটি বার্তা এসেছে। কোনো কৌশল অবলম্বন করে সে যেন ভারতে পালাতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, তারা সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক থেকে কাজ করছেন। আর এ ধরনের খবর পেয়ে সীমান্তে কর্তব্যরতদের আরও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মেডিকেলসহ কয়েক প্রকার ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত প্রবেশ করছে এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশে  ফিরছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার মধ্যরাতে সিলেটের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে চাঁদার দাবিতে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। পরের দিন সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে পরে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন।

ওই ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। এতে সন্দেহ হয় পুলিশের নির্যাতনের প্রতি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com