দেশের স্বাস্থ্যখাতের মতো বর্তমান সরকারও ভেন্টিলেশনে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দলের স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র আশু রোগমুক্তির কামনায় এক দোয়া মাহফিল এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন ভেন্টিলেশনে। সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে, সেই পাইপটা খোলার লোক নাই। এটা খুললে কিন্তু যারা লাইফ সাপোর্টে থাকে তারা সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করে। জনগণের সমর্থনহীন, ভোটার বিহীন ভোট ডাকাতের এই সরকার লাইফ সাপোর্টে ছাড়া অন্য কোনো সাপোর্টে থাকার সুযোগ নাই। এই লাইফ সাপোর্টটা খোলার দায়িত্ব যদি জনগণ হাতে নিয়ে নেয় তাহলে সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে করোনার চেয়েও ভয়াবহ এই সরকার। তাদের হাতে দেশের সব লোক আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। সেই রোগটার নাম হাসিনা। হাসিনা করোনার চে্য়ে ভয়াবহ। এই রোগমুক্তি জন্য তো আমাদের শুধু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে চলবে না। রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিধি মেনেই আমাদেরকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করে গণতন্ত্র ফেরত আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব এই সরকারের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে মানুষ খুব আশা-বিশ্বাস করে আছে। আমরা সেদিকে মনোনিবেশ করি, যোগ দেই। আমাদের নিজস্ব প্রাপ্তির কথাগুলো আপাতত স্থগিত রাখি। আমরা গণতন্ত্র আনতে পারলে তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নাই। আজকে আমরা বড়-বড় পদে, বড়-বড় উপাধিতে ভুষিত থাকতে পারব। কিন্তু অধিকারবিহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় বড়-বড় পদ আমাদের জন্য বোঝা হয়। আমাদের জন্য কোনো অহংকারের হয় না, সম্মানেরও হয় না।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহানগর বিএনপির হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, তাঁতি দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, জাগপা খোন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এসানুল হুদা প্রমুখ।