কয়েক মাস আগের বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই স্মৃতিই যেন আবার ফিরিয়ে আনল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরও বাউন্ডারি নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। রোববার অকল্যান্ডে দুই দলের ম্যাচটিও টাই হয়েছে। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো সুপার ওভারে আর টাই হয়নি। জিতে গেছে ইংল্যান্ড।
ইতিহাসের প্রথম পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল যেন ফাইনালের মতো উত্তেজনা নিয়েই হাজির হয়েছিল। ম্যাচ টাই হওয়া গড়ায় সুপার ওভারে। বিশ্বকাপের পর এবারও সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় করলো ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে ৯ রানে জয় পেয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে সফরকারী ইংল্যান্ড।
আগের ৪ ম্যাচে ২-২ জয়ে সমতায় থেকে রোববার অনির্ধারিত ফাইনালে খেলতে নামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে শুরু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে ১১ ওভারে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও ১৪৬ রান করে। ফলে গড়ায় ম্যাচ সুপার ওভারে। যেখানে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে ১৬ রান তোলে। তবে নিউজিল্যান্ড থেমে যায় মাত্র ৮ রানে।
সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন অধিনায়ক ইয়ান মরগান ও জনি বেয়ারস্টো। অন্যদিকে মূল ম্যাচের শেষ ওভারের মতো সুপার ওভারেও বল হাতে তুলে নেন জিমি নিশাম। তবে তার ওভারে ১টি করে ছক্কা হাঁকান মরগান ও বেয়ারস্টো। ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ রান।
মূল ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ ৩ বলে ১২ রান নিয়ে ম্যাচটি সুপার ওভারে নেওয়া ক্রিস জর্ডানই বল হাতে নেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশদের ম্যাচ জেতাতে, জিতালেনও। পুরো ওভারে মাত্র ১টি চার দিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন ৮ রান।
এরে আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত মূল ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ১১ ওভারে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। বিশাল এ রান তাড়া করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো ১৮ বলে ৪৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬ রান। যার শেষ ৩ বলে পরিণত হয় ১৩ রানে। তখনই একটি করে চার-ছয় মেরে ১২ রান তোলেন জর্ডান। নির্ধারিত ১১ ওভার শেষে ইংল্যান্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রানে, ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।