ইংরেজি নতুন বছরের শুরু থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে ব্রিটিশ নাগরিকদের। ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আর ইইউর অংশ থাকছে না যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপীয় মূলভূমিতে ব্রিটিশদের অবাধ যাতায়াতের সুবিধাও শেষ হতে চলেছে। স্কাই নিউজ।
করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বর্তমানে হাতেগোনা কিছু দেশের নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বিনা বাধায় চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অত্যন্ত সীমিত হারে করোনা সংক্রমিত দেশগুলো রয়েছে এ তালিকায়। ইইউ ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইএ) বাইরের নাগরিকদের সেখানে অনাবশ্যক ভ্রমণ আপাতত বন্ধ।
কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আপাতত এ তালিকা আর বড় করার পরিকল্পনা নেই তাদের। অর্থাৎ ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার আগে নতুন চুক্তি না হলে তাদের ওপরও বহাল হবে ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, করোনা নিষেধাজ্ঞা নির্ভর করবে ইইউ এবং সদস্য দেশগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ওই চ্যালেঞ্জে পড়েছি এবং আমাদের নিজেদেরই বিভিন্ন জায়গায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে ব্রিটিশমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস এখনো একটা জ্বলজ্যান্ত ইস্যু এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আমরা তা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অনিবার্য হতে চলেছে।
তা হলে ব্রিটিশরা ইউরোপের মূল ভূমিতে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কি না প্রশ্ন করলে ডমিনিক রাব বলেন, এটা নির্ভর করছে ওইসব ইউরোপীয় দেশে ভাইরাসের প্রকোপের ওপর। গত কয়েক মাস ধরে একাধিকবার আলোচনার পরও ইইউ এবং যুক্তরাজ্য নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারায় বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। গত বুধবার রাতেও টানা তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তবে এদিনও আশাব্যঞ্জক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তারা।
৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও ট্রানজিশন পিরিয়ডের শর্ত অনুসারে তারা এখনো একই বাজার ও কাস্টমস ইউনিয়নের অংশ।