দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিএনপির দুই নেতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলাটি করেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সীমানা ও গঠনতন্ত্র মানা হয়নি উল্লেখ করে ওই মামলা করা হয়। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে।
বুধবার রাতে আদালত থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ বিবাদীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলজার খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (পৌরসভাকালীন) বিএনপি নেতা নূরে আলম শিকদার বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ শিউলী রানী দাসের আদালতে মামলাটি করেন।
এরপর একইদিন শুনানি শেষে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে কেন কমিটি অবৈধ হবে না জানিয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত। মামলার বাদী গুলজার হোসেন খান জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে অল্প কজন স্থান পেলেও মহানগরের কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ১০টি ওয়ার্ডের কোনো নেতাই পদ পদবি পাননি। এই ১০টি ওয়ার্ডের মূল দলের নেতাকর্মীরা দলীয় পদ পদবির ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। দলের জন্য প্রাণপন কাজ করলেও দলের নেতারা তাদের কোনো পরিচয় দিচ্ছেন না। আমাদেরকে পদ পদবি যেন দেয়া হয় সেজন্যই এ মামলা। আমরা তো জাগোদল থেকেই যুক্ত বিএনপির সঙ্গে।
বিবাদীদের পক্ষে বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, গঠনতন্ত্র মতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলার বাদী বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন খানের অনুসারী। এ মামলায় প্রমাণ করে শাখাওয়াত সরকার দলের এজেন্ট। দলীয় কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখাতেই এ মামলা করা হয়েছে। আদালত তাদের মামলায় ১৯ নভেম্বর জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন খান জানান, মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। যারা মামলা করেছেন তারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সবার সঙ্গেই রাজনীতি করেছেন। তারা আমার ব্যক্তিগত লোকজন নয়। আবু আল ইউসুফ খান টিপু ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক নয়।