যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকাকে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন দিতে পারে। তবে টিকাটি এখনো পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছে। অক্সফোর্ডের সঙ্গে টিকাটি উদ্ভাবনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে দেশটির ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) আগামী ২৮ ডিসেম্বর অক্সফোর্ডের টিকাকে সবুজ সংকেত দিতে পারে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার অনুরোধে এটি জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
হোয়াইট হলের সূত্রগুলো বলছে, তারা আশা করছেন চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে টিকাটি সকলের নাগালে আসবে। যদি কোনো কারণে তা দেরি হয় হয় তবে ২০২১ সালের জানুয়ারির শুরুতেই টিকাটি পাওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্সফোর্ডের টিকা অনুমোদন পেলে তা ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে ভূমিকা নেবে। কারণ ফাইজার-বায়োএনটেকের তুলনায় অক্সফোর্ডের টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান অনেক বেশি সহজ হবে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ২ ডিসেম্বর তাদের দেশের কোম্পানি ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। টিকাটি উদ্ভাবনে ফাইজারের সঙ্গে রয়েছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক। গত ৮ ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ ফাইজারের টিকা অনুমোদন দিয়ে তার প্রয়োগ শুরু করেছে।
ফাইজাররের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। অন্যদিকে, অক্সফোর্ডের টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই সংরক্ষণ করা যাবে। ফাইজারের টিকার মতো অক্সফোর্ডের টিকারও দুটি করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান তিন সপ্তাহ। অক্সফোর্ডের টিকার ক্ষেত্রে এই ব্যবধান চার সপ্তাহ।