মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাজ্যে করোনার আরও একটি নতুন ধরন শনাক্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৮৬ বার

যুক্তরাজ্যে আরও একটি নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যর এই ভাইরাসে দেশটিতে আরও দুই জন আক্রান্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো এটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করা হয়। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ তথ্য জানিয়েছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। গত ১৪ দিনে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের দ্রুত কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়াইলি ম্যাখিজে সতর্ক করে বলেন, ‘আগে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন এমন ব্যক্তিরাও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য বা ভ্যারিয়ান্টটি দ্রুত ছড়ায় এবং দেশটির অনেক এলাকায় এর সংক্রমণও বেশি দেখা যাচ্ছে।’ এই ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ চলছে। প্রাথমিকভবে জানা গেছে, নতুন এই বৈশিষ্ট্যর ভাইরাসটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির সঙ্গে এর আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি ভাইরাসের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে। দুটি ভাইরাসেরই একটি নির্দিষ্ট অংশে “এন ফাইভ জিরো ওয়ান ওয়াই” নামে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওই অংশটি দিয়ে মানুষের দেহের কোষকে আক্রান্ত করে ভাইরাসগুলো।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, ‘আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ থাকা উচিত সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসটি।’

ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়ান্টটি “খুবই উদ্বেগজনক”। যাদের কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের অন্য যে কোনো ব্যক্তির সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।’

একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে লাখো মানুষকে ক্রিসমাসের পরের দিন বা বক্সিং ডে থেকেই চতুর্থ পর্যায় বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধি-নিষেধের আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে মারা গেছেন ২৫ হাজারেরওে বেশি মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com