ভারতে কোঝিকোড়ের পর এবার কোচিতেও শিগেলা নামে এক ব্যাকটেরিয়ার দেখা মিলেছে। ফলে মহামারি করোনাকালের মধ্যেই কেরালায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়াঘটিত অসুখ। গতকাল বুধবারই এক ৫৬ বছরের মহিলার শরীরে মিলেছে এর সংক্রমণ।
দুই সপ্তাহ আগেই কোঝিকোড়ে একটি ১১ বছরের ছেলের মৃত্যু হয় ওই অসুখে। পরে অন্তত ৩৬ জনের শিগেলায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে যান।
জেলার কালেক্টর এস সুভাষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শিগেলায় আক্রান্ত মহিলাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আক্রান্তের এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি কোঝিকোড়ের মতো এখানেও এলাকাবাসীকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পিল বিতরণ করা হচ্ছে। সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোঝিকোড়ে যে ছেলেটি মারা যায় তার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা করা হয়েছিল। ডায়রিয়ার পাশাপাশি অসহ্য পেটের ব্যথা হওয়ায় ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে ধরা পড়ে, এই সংক্রমণের পিছনে শিগেলা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
এই ব্যাকটেরিয়া বিপজ্জনকতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগেলা থেকে হওয়া শিগেলোসিস এমনিতে খুব ভয়ানক কোনো অসুখ নয়। কিন্তু কারও কো-মর্বিডিটি থাকলে তার ক্ষেত্রে রীতিমতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। জল কিংবা বাসি খাবার থেকে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে। মূলত ক্ষুদ্রান্ত্রেই হানা দেয় এটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখের সাধারণ উপসর্গ হল ডায়েরিয়া ও জ্বর। ১০ বছরের কমবয়সীদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা ।
শিগেলার হানাকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না কেরলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে সকলকেই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের পানি ফুটিয়ে খেতে বলা হচ্ছে।