বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উত্পাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উত্সব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। ‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। কিন্তু এ বছর বদলে গেছে বাংলা দিনপঞ্জি। চলছে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এবারই প্রথমবারের মতো আশ্বিন মাসের গণনা শুরু হয় ৩১ দিন হিসাবে। বাংলা একাডেমি দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বাংলা বর্ষপঞ্জির এই সংস্কার করেছে। জাতির ইতিহাসের গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে অভিন্ন তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এই সংস্কার আনা হয়েছে।
আজ শনিবার পয়লা অগ্রহায়ণ। প্রতি বছরের মতো এবারেও জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ এই উৎসবের আয়োজন করেছে।
আজ সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে যন্ত্রসংগীতের মধ্য দিয়ে মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব-১৪২৬ শুরু হয়। এ উৎসবে সকালে একক গান শোনাবেন সালমা আকবর, শারমিন সাথী, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, তানভীর সজীব, মাহজাবিন রহমান, জয়ন্ত। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবেন নৃত্যজন, নটরাজ, স্পন্দন, ধৃতি নর্তনালয় ও নন্দনকলা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি পরিবেশন করবেন বেলায়েত হোসেন ও নায়লা তারাননুম চৌধুরী। দলীয় সংগীত পরিবেশন করবেন উদীচী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ওয়াইজঘাট, সুরতীর্থর শিল্পীরা।
উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। সেখানে বক্তব্য দেবেন নবান্নোৎসব উৎসব পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান। সভাপতিত্ব করবেন নবান্নোৎসব পর্ষদের সভাপতি নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। সকাল সাড়ে ৯টায় চারুকলা অনুষদ বকুলতলা থেকে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নবান্ন শোভাযাত্রা বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে শোভাযাত্রা আবার অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে আসবে।
এরপর উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকেলে।