জনগণ বিএনপির আন্দোলনের ডাক শুনে হাসে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দু কাদের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ১২ বছর পার হয়ে গেলেও বিএনপি কোন বছরে আন্দোলন করবে দলটির প্রতি সে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে চেয়ে বিএনপির ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই।’ তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না।’
বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর? জনগণও এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।’
আওয়ামী লীগের নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে। সারাদেশে যে সকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।’
তিনি বিআরটিএ’তে দালালের দৌরাত্ম্য দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘কারও কারও দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় রাজধানীর বনানী’র বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।