বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে ইরানের ওপর ভয়াবহ হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। ইরানের প্রয়াত জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প দায়িত্বে আছেন আর দুই সপ্তাহের বেশি। এরমধ্যে তার নির্দেশে ইরানে চালানো হতে পারে ভয়াবহ হামলা। এদিকে কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রথম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, যেকোনো মূল্যে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
ইরান ও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ পোস্টেল আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘খেলার শেষ দৃশ্যপটে ট্রাম্প আহত এবং কোণঠাসা। তার আর কিছু সপ্তাহ সময় আছে এবং আমরা জানি তিনি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেওয়াতে পটু।’
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাডিজের সহকারী পরিচালক ড্যানি পোস্টেল বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান মিত্রদের, বিশেষ করে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের চাপের মুখে রয়েছে ট্রাম্প।’
এদিকে, গতকাল শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ‘ইরাক থেকে নতুন গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, ইসরায়েলি উস্কানিদাতা এজেন্টরা আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে।’ এসময়, ওই হামলাকে ইরানি হামলা ভেবে ইসরায়েলের ফাঁদে না পড়তে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাভেদ জারিফ।
প্রসঙ্গত, গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পারস্য উপসাগরে তিন দফায় মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান উড়িয়েছে। এরমধ্যে ছিল সর্বশেষ গত বুধবার। ইরানকে প্রতিশোধ নিতে বিরত রাখতেই এসব বোমারু বিমান উড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।