যুক্তরাজ্যে গতকাল শুক্রবার এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে ব্রিটেনে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। করোনায় হঠাৎ মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধিকে লন্ডন গুরুতর ঘটনা হিসেবে দেখছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির সরকারিভাবে জানোনো তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ হাজার ও গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে এক হাজার ৩২৫ জন। দেশটিতে এক দিনে মৃত্যুর এ সংখ্যা গত বছর এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে করোনায় মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাজ্য পঞ্চম স্থানে রয়েছে। করোনার অতি সংক্রামনীয় নতুন রূপ পুরো ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখন মহামারী রোধে দ্রুত ভ্যাকসিন ব্যবস্থায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, মহামারী শুরুর সমেয় অপেক্ষা বর্তমানে হাসপাতালগুলো অধিক চাপের মধ্যে রয়েছে। সারাদেশ জুড়ে সংক্রমণের হার ভয়াবহ ভাবে বেড়ে চলেছে। এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা) মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে। এটি রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে আমাদের চিকিৎসক ও নার্স যতট বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্যে নতুন করে এক দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৩ জন। বর্তমানে দেশটিতে মোট জনসংখ্যার ছয় কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
বিরোধী লেবার পার্টির লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তখন রোগীদের জন্য হাসপাতালের শয্যার ভয়াবহ অভাব দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমান পরিস্থিতিকে গুরুতর ঘটনা হিসেবে ঘোষণা করেছি। কারণ করোনাভাইরাসের করণে আমাদের শহর এখন সঙ্কটময় অবস্থানে রয়েছে।
সাধারণত গুরুতর ক্ষতি, মানব জীবন নিয়ে শঙ্কা, প্রয়োজনীয় সেবার ব্যাঘাত, পরিবেশ বা জাতীয় সুরক্ষার ঝুঁকি দেখা দিলে ব্রিটেনে গুরুতর ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়ে থাকে। লন্ডনের সর্বশেষ ২০১৭ সালে আবাসিক এলাকার গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ৭২ জনের মৃত্যুকে গুরতর ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। সূত্র : রয়টার্স