করোনাকালে বেশকিছু নতুন তথ্য ওঠে এসেছে সকলের সামনে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিবারই নতুনভাবে করোনার ধরা দিয়েছে আমাদের সামনে। করোনার লক্ষণগুলি কারও ওপর ছিল কম, আবার কারও ছিল বেশি। তবে লক্ষণ যাই হোক না কেন এই ভাইরাস নিয়ে সকলেই চিন্তিত। কম সময়ে উত্থান হলেও দীর্ঘ সময় ধরে মানবদেহে থাকতে পারে করোনার ভাইরাস।
সাধারণ লক্ষণগুলি
করোনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে এখন প্রায় সকলেই ওয়াকিবহাল। তবে অনেক সময় অন্য ধরনের লক্ষণও দেখা যায়। করোনার প্রধান লক্ষণগুলি হল জ্বর, শুকনো কাশি, ঠোট শুকিয়ে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।
করোনাকাল
এই ধরনের লক্ষণ থেকেই করোনা হতে পারে এমনটা কিন্তু মনে করার কারণ নেই।
তবে এই লক্ষণগুলি যদি ১৪ দিনের বেশি ধরে চলে তাহলে চিন্তার বিষয় আছে। করোনা আক্রান্ত ৯৭ শতাংশের বেশি মানুষের এই লক্ষণগুলি দেখা দিয়েছে।
সাধারণ করোনা বনাম দীর্ঘ করোনা
নাইসের মত অনুসারে, প্রথম থেকেই যদি করোনা নিয়ে সতর্ক না হওয়া যায় তবে তা শরীরের পক্ষে মারাত্বক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি করোনা থেকে মানুষ সুস্থ না হয় তবে তা দীর্ঘ করোনা হিসাবে ধরা হয়। এমনকি তার মৃত্যুও হতে পারে।
দীর্ঘ করোনা হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
করোনা হতেই পারে। তবে তা দীর্ঘ কিনা তা বোঝা প্রায় সকলের কাছেই দায়। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখে মনে হতে পারে দীর্ঘ করোনা হয়েছে আপনার। মাথাধরা, মাথা ভারি হয়ে থাকা, গায়ে ব্যাথা, হাড়ে ব্যাথা, বুকে ব্যাথা।
করোনা থেরে সেরে ওঠার পর
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কতদিন পর্যন্ত দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে পারে। এই প্রশ্ন এখন সকলের মনে রয়েছে। করোনা আপনার দেহে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার ওপর নির্ভর করবে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেহে রোগ প্রতিরোধ থাকলেও তাকে ধ্বংস করে করোনা। তাই এখন বিষয়ে বিশেষ কিছু বলা যায় না।
কাদের করোনা সংক্রমণ বেশি
হার্ড ইমিউনিটি যদি দেহে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বেশি থাকে তবে করোনা সহজে কাবু করতে পারবে না। তবে যাদের শরীর দুর্বল, তাদের করোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্ক বেশি থাকে।
চিকিৎসায় কি ওঠে এসেছে
আয়েশি জীবন যাপনের মধ্যে যারা বেশি থাকেন তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাদের তুলনায় সাধারণ মানুষদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। তাই তারা করোনা আক্রান্ত হলেও তা সহজেই দেহ থেকে বিতাড়িত হয়।
এক সপ্তাহের বেশি জ্বর
যদি কারও এক সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকে তবে অবিলম্বে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনার লক্ষণগুলি তখন প্রকাশিত হলে নিজেকে আইসোলেনে রাখতেই হবে। দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এমন ওষুধও খেতে হবে।
মুখের স্বাদ না থাকা
জ্বর হলেই সাধারণত মুখের স্বাদ থাকে না। করোনাকালে এই লক্ষণ আরও বেশিমাত্রায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বাদের কথা না ভেবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নাহলে অপুষ্টির শিকার হবে দেহ।
ডায়রিয়া
করোনাকালে ডায়রিয়া হতে পারে। এমন অনেক রোগী দেখা গেছে যাদের এই সময় পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে দোসর হতে পারে বমিও। সেখানে শরীর হতে পারে আরও ক্লান্ত।