গত কয়েক বছরে পাকিস্তান দলের টেস্ট পারফরম্যান্স চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পিসিবি’র কাছে। কিন্তু এখন হয়তো দিন বদলেছে। সুদিন ফিরেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে সাত উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। যার ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
তবে এই ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের থেকেও বেশি আলোচনা হল এক বাঁহাতি স্পিনারকে নিয়ে। তিনি নুমান আলী। ৩৪ বছর বয়সী এই স্পিনারের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর অভিষেক ম্যাচেই তিনি সবাইকে চমকে দিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দুই ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন এই বর্ষীয়ান স্পিনার। এত বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার নোমান আলি। এর আগে ১৯৪৯ সালে ৩৪ বছর ১৪৬ দিন বয়সী ফেন ক্রেসবলের অভিষেক হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের সেই ক্রিকেটারও অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
১৯৮৬ সালের ৭ অক্টোবর সিন্ধুতে জন্ম বাম-হাতি স্পিনার নুমানের। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৩৪ বছর ১১১ দিনে) টেস্টে অভিষেকের রেকর্ডে চতুর্থ অবস্থানে নুমান। নুমান ৭৯ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ২৮৫ উইকেট ও ২ হাজার ১০৪ রান তুলেছেন। ৮১ লিস্ট এ ম্যাচ খেলে ১০৭ উইকেট ও ৮০৩ রান করেছেন। ৩৯ উইকেট ও ১৭৯ রান করেছেন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৪১ ম্যাচে অংশ নিয়ে।
১৫ বছর ধরে খেলছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফিতে খেলেন হায়দরাবাদের হয়ে। এছাড়াও খেলেছেন হায়দরাবাদ হকস, খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ দলে। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ পিএসএলে মুলতান সুলতানের এই ক্রিকেটার কিছুদিন হলো নির্বাচকদের নজরে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেই চলে আসে সুযোগটা। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিনের পারফরম্যান্সের পুরস্কারটা মিলে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। পাকিস্তান করে ৩৭৮। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের লিড নিয়ে দাপট দেখাতে থাকে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে নুমানের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৪৫ রানে। মাত্র ৮৮ রান টার্গেট ছিল পাকিস্তানের সামনে। তিন উইকেট হারিয়েই সেই রান তুলে নেয় পাকিস্তান।