সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের বিচার দ্রুত করতে মত দিয়েছেন সিনেটের নেতারা। আজ মঙ্গলবার সিনেট নেতার বিষয়টিতে নিজেদের মত প্রকাশ শুরু করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ভবন ক্যাপিটল হিলে ভয়াবহ দাঙ্গার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের উপর সমর্থকদের উদ্দেশে ‘বিদ্রোহী ভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের পক্ষের লোকজন বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক ও অসংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন। আজ এ বিষয়টির বৈধতা যাচাই হবে বলেও জানায় বিবিসি।
অভিশংসনের ঘটনায় ট্রাম্প যদি দোষি সাব্যস্ত হন, তাহলে প্রেসিডেন্ট পদে আর দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। এখন পর্যন্ত দুবার তিনি অভিশংসিত হয়েছেন, যে কারণে তার উপর খড়্গ ঝুলছে। তবে, ট্রাম্পকে দোষি সাব্যস্ত করতে হলে সিনেটের ১০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশের মত প্রয়োজন। ডেমোক্রেটের ৫০ আসন বাদে খুব কম রিপাবলিকান এতে মত দেবেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত একটি প্রাক-বিচারের বিবৃতিতে, ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিচারের এই পদ্ধতিকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন। তাদের ভাষ্য, ট্রাম্প আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তিনি বর্তমানে একজন সাধারণ নাগরিক।
তবে রিপাবলিকানদের এই মতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন ডেমোক্র্যাটিক নেতারা। তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিধায় ট্রাম্পকে জবাবদিহি করতে হবে।
আজ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় প্রশ্নোত্তরের জন্য ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের চার ঘণ্টা করে দেওয়া হবে। যেটি শেষ হবে ভোটের মাধ্যমে।
কীভাবে হবে বিচার কাজ
সিনেট নেতারা গতকাল সোমবার অভিশংসনের বিষয়ে বিচার প্রক্রিয়ার কাঠামো নিয়ে একমত হয়েছেন। মার্কিন সিনেটের মেজরিটি লিডার চাক শুমার বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচার সৎ ও সুষ্ঠুভাবে হবে। সকলেই এ মতে সম্মত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার যদি সাংবিধানিক ভোট পাশ হয়, তাহলে আগামীকাল বুধবার বিকেলে সিনেটে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে। এতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা ১৬ ঘণ্টা করে সময় পাবেন।