মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে আবু জায়েদের জোড়া আঘাতে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশ।
দিনের পঞ্চম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দেন আবু জায়েদ রাহী। তার করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জোমেল ওয়ারিকান। আগের ২ রানের পর নামের পাশ আর কোনো রানই যোগ করতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ৫০ রান। এরপর দলীয় ৬২ রানের মাথায় কাইল মায়ার্সকেও এলবিডব্লি’র ফাঁদে পেলেন এই পেসার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৩ রান। এনক্রুমা বোনার ২৫ ও জার্মেইন ব্লাকউড ৮ রানের অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে তৃতীয় দিনে লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় ফলোঅন এড়ালেও বাংলাদেশকে ২৯৬ রানে অলআউট করে ১১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে সফরকারীরা। এনক্রুমা বোনার এবং নাইট ওয়াচম্যান জমেল ওয়ারিকান যথাক্রমে ৮ ও ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল, নাঈম এবং মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
তৃতীয় দিনের শুরুটা দারুণ ছিল দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুনের। নিজের ২২তম টেস্ট অর্ধশতক তুলে নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন মুশফিক। অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মিঠুন। কিন্তু ১৩ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর সপ্তম উইকেটে লিটন-মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
তাদের দু’জনের জুটিতে ১২৬ রান তুলে বাংলাদেশ। ২৮১ রানে মাথায় লিটন দাসকে কর্নওয়াল ফিরিয়ে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ করেন ৫৭ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রাহকিম কর্নওয়াল ৭৪ রানে ৫ উইকেট, গ্যাব্রিয়েল ৭০ রানে ৩ এবং আলজারি জোসেফ ৬০ রানে দুই উইকেট শিকার করেন।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানে অলআউট হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান আসে জশুয়া দা সিলভার ব্যাট থেকে। এছাড়া এনক্রুমা বনার ৯০ এবং আলজারি জোসেফ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম চারটি করে এবং মেহেদী মিরাজ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট শিকার করেন।