ওই বয়া ধরে তিনি ১৪ ঘন্টা পানিতে ভেসে থাকেন। এরপর তাকে উদ্ধার করা হয়। তার ছেলে মারাত বলেছেন, তার পিতাকে ২০ বছর কম বয়সী দেখাচ্ছে। তবে তিনি বেশ ক্লান্ত। উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের তাউরাঙ্গা বন্দর থেকে বৃটিশ ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন টিকেয়ার্নের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করে সিলভার সাপোর্টার নামে কার্গো জাহাজ। এর প্রধান প্রকৌশলী ভিদাম পেরেভেরটিলোভ। তার ছেলে বলেছেন, তার পিতা ইঞ্জিন রুমে কাজ করছিলেন। সেখানে প্রচণ্ড গরমে তার মাঘা ঘুরতে থাকে। এমন অবস্থায় তিনি ১৬ই ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টার দিকে ডেকের ওপর উঠে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। সেখান থেকে আকস্মিকভাবে সমুদ্রে পড়ে যান। বিষয়টি জাহাজের অন্য কেউ টের পাননি। ফলে জাহাজ তার গতিতে গন্তব্যে ছুটতে থাকে। এ অবস্থায় সূর্যোদয় পর্যন্ত তিনি সাঁতরাতে থাকেন। দূরে একটি কালো কিছু দেখতে পান। সেদিকে সাঁতরে এগিয়ে যেতে থাকেন। আসলে সেটা কোনো বোট বা অন্য কিছু নয়। শুধুই একটুকরো ‘ভাসমান রাবিশ’। মাছধরা জেলেরা হয়তো ফেলে গেছেন। সেটাই ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন ভিদাম পেরেভেরটিলোভ। ওদিকে তিনি জাহাজে নেই এ বিষয়টি বুঝতে ক্রুদের সময় লেগে যায় প্রায় ৬ ঘন্টা। এক পর্যায়ে তারা গতি ঘুরান। ছুটে যান পিছনে। ভিদাম পেরেভেরটিলোভ দেখতে পান জাহাজ। তিনি ক্ষীণকণ্ঠে উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকেন। জাহাজের কেউ একজন তা শুনতে পায়। হাত উঁচু করেন ভিদাম পেরেভেরটিলোভ। তা দেখে তাকে উদ্ধার করেন ক্রুরা।