বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের সামনে একটি মাত্র লক্ষ্য আর সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্রের প্রতিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিলো চারটি আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫ টি। প্রধানমন্ত্রীর মামলাগুলো তুলে নেয়া হয়েছে আর আমাদের নেত্রীর মামলা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবেদীন ফারুক, আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, এজেড এম জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরফুদ্দিন সপু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জনগনের ম্যন্ডেটে নির্বাচিত নয় তাই তাদের জনগনের কাছে কোন জবাবদিহিতা নেই। তারা আজ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। সরকার সুপরিকল্পিতভাবে এ রাষ্ট্রেকে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে লুটতরাজের রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশকে এর থেকে রক্ষা একটি মাত্র উপায় সেটি হল গণঅভ্যুত্থান। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর গণঅভ্যুত্থান ঘটনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
আজ সকাল দশটায় পুলিশ বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরপরে আমরা আর কোন সমাবেশের অনুমতি নিবো না। সভা সমাবেশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার তাই আমরা আমাদের যখন ইচ্ছে সভা সমাবেশ করবো। দেশনেত্রী মুক্তির লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।