বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট ঘেরাওয়ের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত পুলিশ চলমান অস্থিরতার পেছনে ‘উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা হিজবুল্লাহর বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সরাসরি জড়িত ৮, শনাক্ত ১৩ র‍্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

হাসিব খান বলেছিল, আমি ইনু ভাইকে গুলি করতে দেখেছি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
  • ১২২ বার

আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। আমাদেরতো অনেক নেতা-কর্মী। কয়েকজন আমাকে বলেছে। আমি জানি না, এ কথা যদি ছাপা হয় তারা এটা স্বীকার করবে কি না। দুজনের নাম বলব আমি, মুনির-হাসিব। খুব ক্যাটাগরিক্যালি তারা বলল যে ওই দিন রক্ষীবাহিনী গুলি করত না। কারণ, গুলিটা আগেই আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। আমি বিস্মিত হয়েছি।

জিজ্ঞেস করেছি কেমন করে? ওরা বলেছে, ‘আপনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ঢাকা থেকে তাদের ডিরেকশন দেওয়া হয়েছিল আর্মস নিয়ে, আর্মড লোকজন নিয়ে আসতে। তারা হাসানুল হক ইনুর কমান্ডে ছিল এবং হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে এটা হয়েছে।’ আমি তো দুজনের নাম বললাম। আমার ধারণা, আবুল হাসিব খান উইল বেইল মি আইট। স্বীকার করবে। বলবে না যে সে এ কথা বলেনি। এছাড়া, জয়নাল বলে একজন ছিল, জগন্নাথ কলেজের ছাত্র। থাকত বংশালের দিকে। সে আমাকে বলেছে, ‘আমি তো নিজেই রাইফেল নিয়া আসছি। ইনু ভাই আমাকে বলছে।’

তখনকার জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা, রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেছেন লেখক, গবেষক মহিউদ্দিন আহমদকে। মহিউদ্দিন আহমদের সদ্য প্রকাশিত ‘প্রতিনায়ক: সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে এ বিবরণ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ জাসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাসা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে রক্তপাত নিয়ে কথা বলেন তারা। যে ঘটনায় ৫০ জন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার দাবি করেছিল জাসদ। সেসময় ইত্তেফাকে ছয় জন নিহতের কথা বলা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদের আলোচনা এগুতে থাকে-

মহি: (জয়নাল) জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিল?
মান্না: হ্যাঁ। খুব ডেডিকেটেড কর্মী ছিল। পরে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক বছর ধরে আমেরিকার কোথাও আছে।

মহি: এখনতো আপনি এভাবে মূল্যায়ন করছেন। ওই সময় কি এটা নিয়ে কোনো আরগুমেন্ট করেছেন?
মান্না: তখনতো আরগুমেন্টের কোনো জায়গা ছিল না। আপনি আবুল হাসিব খানকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। সে বলেছিল, ‘আমি ইনু ভাইকে গুলি করতে দেখেছি।’

মহি: এ কথা সে আমাকেও বলেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে বলবে না। হয়তো কাউকে বিব্রত করতে চায় না।
জাসদের একাংশের সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অবশ্য আগে থেকেই এ অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খানকে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। ইনু বলেন, বাহাত্তর সালে জাসদ করার পরে আমি প্রকাশ্যে কোথাও অস্ত্র নিয়ে কখনো নড়াচড়া করিনি। আমার এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র আছে। সেই অস্ত্র কোনো দিন আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে কেউ দেখেনি। আমি রাজনীতির কর্মী, অস্ত্রবাজ নই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com