তবে কত সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সামরিক জান্তা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়েছে, সামরিক জান্তার শিকারে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার নিহত হয়েছে সাত বছর বয়সী একটি কন্যা শিশু। এ ঘটনায় গণতন্ত্রপন্থিরা বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন এবং মোন রাজ্যের থাহটানে রাতে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন। এর আগে মান্দালয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তাতে বাড়িতে থাকা ওই শিশুটি বুলেটবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মঙ্গলবার। নিহত শিশুটির এক বোন মিয়ানমার নাউ’কে বলেছেন, সেনাবাহিনী তার পিতাকে গুলি করেছিল। কিন্তু সেই গুলি গিয়ে আঘাত করে ওই শিশুটিকে। এদিন ওই এলাকায় আরো দু’জনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব ইস্যুতে সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। এখন অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ধরন পাল্টেছে। বিক্ষোভকারীরা নীরব ধর্মঘটের দিকে অগ্রসর হয়েছে। নোবেল অং নামে একজন অধিকারকর্মী বলেছেন, বাইরে যাওয়া নেই। কোনো কেনাকাটা নেই। কোনো কাজ নেই। সব বন্ধ থাকবে। এটা শুধু একদিনের জন্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট এবং মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে যে, বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ওষুধের দোকান পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।