শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট ঘেরাওয়ের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত পুলিশ চলমান অস্থিরতার পেছনে ‘উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা হিজবুল্লাহর বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সরাসরি জড়িত ৮, শনাক্ত ১৩ র‍্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

ঢাকায় অঘোষিত কারফিউ, শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে যেতে পারিনি : ফখরুল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১
  • ১২২ বার

জনগণকে বাদ দিয়েই সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের যে অবস্থা তা আমরা কল্পনা করিনি। রাজধানীর ঢাকা শহর একটা অঘোষিত কারফিউর মতো অবস্থা। জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনগণকে বাদ দিয়েই সরকার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এটা কারও কাছে প্রত্যাশিত নয়। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য যে কমিটি ছিল সে কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের অনেক কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেটা আমরা পালন করতে পারিনি। আমরা আজকে স্মৃতিসৌধেও যেতে পারিনি। জেলার নেতৃবৃন্দ সেখানে প্রতীকীভাবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং  প্রিয় নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। পুলিশের অনুমতিতে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে আসেন এবং পুস্পস্তবক অর্পন করে মোনাজাত শেষে তারা ফিরে যান। অন্য কোনো নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের কবর এলাকায় আসতে পারেনি। বিকেলে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং তার ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে সেই সময়ে সমস্ত জনগণ তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকে ৫০ বছর পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখলাম যে, জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিলো সেই সময়ে, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ১৯৭১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কারাগারে বন্দী ছিলেন। আজকে ৫০ বছর পরে তিনি বাংলাদেশের একটা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সরকারের হাতে বন্দী অবস্থায় আছে। এটা হচ্ছে আমাদের অ্যাচিভমেন্ট।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের রাজনেতিক অর্জন হচ্ছে এটা যে, আজকে ৫০ বছর পরেও আমরা স্বাধীন নই। আমরা একথা বারবার বলছি যে, এই আওয়ামী লীগ সরকার তারা বেআইনিভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আমাদের জনগণের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, সাংবিধানিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে। এজন্য এদেশের মানুষ আমরা স্বাধীন বলতে পারি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে, আমরা শৃঙ্খলিত হয়েছি।’

ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আজকের এদিনে আমরা শপথ নিয়েছি, আমরা দেশকে শৃঙ্খলমুক্ত করবো, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে আমরা অবশ্যই মুক্ত করবো, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে যে শৃঙ্খলিত করা হয়েছে তাদেরও আমরা মুক্ত করবো।’

দেশের স্বাধীনতা সুসংহত ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে আত্মত্যাগের মহিমায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার উদাসীন’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, করোনা সংক্রমণের কারণে আমাদের সমাবেশসহ বাইরের কর্মসূচিগুলো বাতিল করেছি। আজকে ভয়ংকরভাবে করোনা কিন্তু আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে আক্রমণ শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেদিকে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। তার মূল কারণ হচ্ছে তারা বিদেশি মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত আছে। দেশের মানুষের কি হবে কি হবে না সে বিষয়ে তাদের খুব বেশি আগ্রহ আমরা দেখছি না।’

‘ভারতের সাথে অমীমাংসিত সমস্যার প্রসঙ্গে’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুদেশ এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন সে ব্যাপারেও কোনো সন্দেহ নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্ধু দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত যেসব সমস্যাগুলো রয়েছে বিশেষ করে কোটি মানুষের জীবন-মরণের সমস্যা পানি অভিন্ন নদীগুলোর পানির হিতসা সেখানে কোনো সমধান হয়নি। বার বার করে বলা হয়েছে তিস্তা নদীর পানির কথা, ১০ বছর আগে বলা হয়েছে এই নদীর পানি হিতসার সমাধান করতে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। অথচ আমাদের সরকার কিন্তু একতরফাভাবে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিয়েছেন, অন্যান্য বিষয়গুলো তারা করছেন। আজকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। আমাদের যে কানেটিভিটি হচ্ছে তাদের আমাদের কী লাভ হচ্ছে তা জনগনকে জানানো হয়নি। তারপরেও আমরা বলতে চাই, আমরা সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু কেউ আমাদের প্রভু হোক এটা আমরা কখনো চাই না, বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com