পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে আজ সোমবার দিবাগত রাতে। এ উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাদ মাগরিব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মাহফিল শেষে বাদ এশা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ইফার জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পবিত্র শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় রজনী। এই রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। পাপী বান্দাদের ক্ষমা করেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। ‘শবেবরাত’ ফার্সি ভাষার দুটি শব্দ। ফার্সিতে ‘শব’ মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে ভাগ্য। সুতরাং ‘শবেবরাত’-এর অর্থ হলো সৌভাগ্যের রজনী। হাদিসে রয়েছে- লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান বা মধ্য শা’বানের রজনী। অর্থাৎ শা’বান মাসের ১৪ তারিখ সন্ধ্যার পর যে রাত, সেটাই শবেবরাত।
এদিকে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী। এ উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।
তিনি বলেন, মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বারতা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবেবরাত প্রধানত সৌভাগ্য রজনী হিসেবে পালিত হয়। মানবজাতিকে এই পবিত্র রজনী আল্লাহ তা’য়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যম-িত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এই রজনী বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন। পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।