তিন বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আলোচিত মামলার রায় হবে কাল ২৭শে নভেম্বর বুধবার। গত রোববার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। মামলার রায় ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম সারওয়ার খান জাকি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের চার দিনব্যাপী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে বিচারক মামলার রায়ের জন্য আগামী ২৭শে নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এই মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ২০০৯ সালের এই আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
২০১৮ সালের ২৬ শে নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ৩ ডিসেম্বর মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার দাসের জবানবন্দি নেয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়। তার আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ওই বছরের ২৩শে জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
রায় ঘিরে নজরদারি: গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সাইবার জগতে বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে।
রায় উপলক্ষে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী যাতে হামলার চেষ্টা বা বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ।