শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট ঘেরাওয়ের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত পুলিশ চলমান অস্থিরতার পেছনে ‘উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা হিজবুল্লাহর বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সরাসরি জড়িত ৮, শনাক্ত ১৩ র‍্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

করোনায় সীমিত আ’লীগের কার্যক্রম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১২৬ বার

করোনার প্রথম ঢেউয়ের উত্তাপ কমার পরই বেশ কিছু দিন ধরে জেলা-উপজেলায় সম্মেলন, নতুন কমিটি গঠন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তৃণমূলে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ। হঠাৎ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবারো ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ওই সব সাংগঠনিক কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে দলটি। প্রতিদিনই রেকর্ডসংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আক্রান্তের হারও অনেক বেশি।

করোনার এ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দেশে ৮ দিনের লকডাউন চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প পরিসরে শুধুমাত্র সামাজিক সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে পেরেই কিছু দিন যাবত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পালিত হচ্ছে। হাইকমান্ড থেকেই সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের সভা-সমাবেশ, জেলা-উপজেলার সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে জরুরি কোনো মিটিং থাকলেও স্বল্প পরিসরে করা হচ্ছে। ওই মিটিংগুলোতে যুগ্ম সম্পাদক এবং প্রয়োজনে সাংগঠনিক সম্পাদক পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। তবে সেখানেও উপস্থিতি সীমিত করা হয়েছে। করোনার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাও আপাতত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বড় কোনো জনসমাগম হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার ব্যাপারে কড়াকড়ি রয়েছে। তবে কিছু কিছু সাংগঠনিক জরুরি কার্যক্রম কিংবা সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা হবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা আলাপকালে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশে এখন লকডাউন চলছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। গরিব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ অনেকেই উপার্জনহীন হয়ে পড়েছে। করোনার এই সময়ে ওই সব মানুষকে আর্থিক ও খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করা, স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পালন করা হবে। গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুবরণ করেন। এরপর যখন সারা দেশে লকডাউন চলছিল তখনো আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও করোনার এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ভাসমান অসহায় মানুষকে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, করোনার এই সময়ে এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি। নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন থেকে সীমিত আকারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সামান্য উদাসীনতায় দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় নিয়ে যাবে। তাই নিজের জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে পালন করা হবে। এই পরিস্থিতিতে জেলা-উপজেলাসহ সব সম্মেলন, কমিটি গঠন, বড় ধরনের কোনো সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক কার্যক্রম চালু থাকবে। দেশের এই সঙ্কটকালীন সময়ে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের এটাই ব্রত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। এই দুর্যোগের সময় আমাদের এখন কাজ হচ্ছে দুস্থ অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। করোনাকালীন অসহায়, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের যখন যেখানে যা প্রয়োজন পড়বে আমরা সেখানে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব।

করোনার এই পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নয়া দিগন্তকে বলেন, করোনায় সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে খুবই সীমিত পরিসরে অত্যাবশ্যকীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পালনের জন্য বলা হয়েছে। যেকোনো কর্মসূচিতেই কেন্দ্রের সবাইকে সংযুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না, দায়িত্বশীলপর্যায়ে যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকেও সীমিত আকারে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনসমাবেশ হয়, জনসমাগম হয় এ রকম কর্মসূচি আপাতত পরিহার করার জন্য বলা হয়েছে। কার্যনির্বাহী সংসদের সভা, সম্মেলন, নতুন কমিটি গঠন- এ ধরনের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত আছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে আবার পূর্ণ উদ্যোমে শুরু করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com