মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক প্রবীণ নাগরিককে কোভিড টিকার অন্তত এক ডোজ দিয়ে রেকর্ড গড়ল আমেরিকা। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে , তখন এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে বাইডেন প্রশাসনকে। দেশের ১৩০ মিলিয়ন মানুষ যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ বছর এবং তাঁর বেশি বয়সের নাগরিক তারা প্রত্যেকেই টিকাকরণের আওতায় এসেছেন। সিডিসি অর্থাৎ সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন – এর তথ্য অনুযায়ী আমেরিকার ৮৪ মিলিয়ন প্রবীণ নাগরিককে ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়া হয়ে গেছে , যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩২. ৫ শতাংশ। ভ্যাকসিনের দৌড়ে অন্যান্য দেশকে পেছনে ফেলে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা। তবে, মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির মতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু বলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনকে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়ে ৬ জন মহিলার রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি প্যানেল তৈরি করেছেন। পরিস্থিতি বিচার করে প্যানেল সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে দেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হবে না এটি একেবারে স্থগিত রাখা হবে। এবিসি-কে জানিয়েছেন ফাউচি। তাঁর মতে, পর্যাপ্ত সচেতনতা এবং কিছু নিয়ম নীতি পালন করতে পারলে খুব শীঘ্রই এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সিডিসি জানিয়েছে, ১০৯ মিলিয়ন ফাইজার , ৯২ মিলিয়ন মর্ডানা এবং ৭.৯ মিলিয়ন জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ব্যবহার করা হয়েছে গোটা দেশে।