জৈব-সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে আইপিএলের ১৪তম আসর। ভারতে করোনার ঊর্ধমুখি সংক্রমণের মাঝেও সব বাধা উপেক্ষা করে আসরটি মাঠে গড়ায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আড়াই হাজার কোটি রুপি ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে সংস্থাটি।
আইপিএলের মূল আয়ের মাধ্যম ব্রডকাস্ট ও স্পন্সরশিপ। এখান থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার কথা ছিল বিসিসিআই’র। বোর্ডের সিনিয়র এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বলেছেন, ‘আইপিএল মাঝপথে বন্ধ হওয়ায় আমরা ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়লাম। তবে এর পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। এখনই সঠিক পরিমাণ বলা যাবে না। কারণ ঠিক কত টাকা পাওয়া যাবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’
আইপিএলের ব্রডকাস্ট রাইটস পার্টনার স্টার স্পোর্টস। তাদের সঙ্গে ১৬ হাজার ৩৪৭ কোটি রুপিতে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়। যেখানে প্রতি বছর ৩২৬৯.৪ কোটি রুপি করে দেওয়ার কথা। এক মৌসুমে যদি ৬০ ম্যাচ হয়, তাহলে প্রত্যেক ম্যাচের মূল্য সর্বোচ্চ ৫৪.৫ কোটি রুপি। এবার যেহেতু মাঝ পথে এসে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে ফলে ১৬৯০ কোটি রুপি হারাতে যাচ্ছে বিসিসিআই।
এদিকে, টাইটেল স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ভিভোর কাছ থেকে ৪৪০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা বোর্ডের। কিন্তু এই বছর এর অর্ধেক বা তারও কম টাকা পাবে তারা। এছাড়া অন্য স্পন্সরগুলোর কাছ থেকেও পরিমাণ মতো অর্থ পাচ্ছে না বোর্ড। ফলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বিসিসিআইয়ের।