নিউইয়র্কে ধর্ম-বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে গত ২৮নভেম্বর বৃহস্পতিবার সমগ্র আমেরিকা জুড়ে মহাধুমধামে উদযাপিত হয়েছে থ্যাংকস গিভিং ডে। যদিও বৃহস্পতিবার ছুটি ছিল, তবু কেউ কেউ পরের দিন উদযাপিত করবে থ্যাংকস গিভিং ডে। সমিতি সংগঠনের পাশাপাশি পারিবারিকভাবে অনেকে দিনটি উদযাপন করেছে। থ্যাংকস গিভিং ডে’র ঐতিহ্য টার্কি ছাড়া সর্বত্রই ছিল খাবার দাবারের বিপুল আয়োজন।
১৬২০ সালে ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামের এক জাহাজে চড়ে ১০২ জন নানা ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়েছিলেন। কয়েকমাস পর তারা ম্যাসাচুসেটস বেতে এসে থামেন। যাত্রীদের অনেকেই অর্ধাহারে ও শীতের কোপে অসুস্থ ও দুর্বল হযয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে যারা সুস্থ ছিলেন তারা জাহাজ থেকে তীরে এসে নামেন। ওখানেই তারা প্লিমথ নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। স্কোয়ান্তো নামের এক উপজাতি আমেরিকান ইন্ডিয়ানের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। স্কোয়ান্তো তাদের নিজে হাতে শিখিয়ে দেয় কিভাবে কর্ন বা ভুট্টা চাষ করতে হয় বা মাছ ধরতে হয় এবং কিভাবে ম্যাপল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে হয়।
১৬২১ সালের নভেম্বরে প্লিমথবাসী তাদের উৎপাদিত শস্য কর্ন নিজেদের ঘরে তুলতে পেরেছিল। কর্ন বা ভুট্ট্রার ফলন এত বেশি ভালো হয়েছিল যে, গভর্নর উইলিয়াম এ উপলক্ষে সব আদিবাসী এবং নতুন প্লিমথবাসীর সৌজন্যে ভূরিভোজের আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠানে সবাই প্রথমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান তাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ও এমন সুন্দর শস্য দান করার জন্য। তারপর উপস্থিত সবাইসবাইকে ধন্যবাদ জানান সারা বছর একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। এই অনুষ্ঠানটি আমেরিকার প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও ঘরে বসে নেই। উদযাপন করেছে বিশেষ দিনটি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে চলে টার্কি দিয়ে ডিনার সহ সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন। নিউইয়র্কের জ্যাকসন্স হাইটস, ব্রুকলীন, ব্রোনক্সসহ নিউজার্সি, পেনসেলভানিয়া, বোষ্টন, ভার্জিনিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটসসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি ও মুসলমান মালিকানাধীন গ্রোসারির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে হালাল টার্কি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে উক্ত দোকানগুলোতে দেদারছে চলছে হালাল টার্কির বেচাকেনা। আর থ্যাংকস গিভিং ডে উপলক্ষে ৪ কোটি ৫০ লাক্ষ জবাই করা হয় ১৬২০ সালে ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামের এক জাহাজে চড়ে ১০২ জন নানা ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়েছিলেন। কয়েকমাস পর তারা ম্যাসাচুসেটস বেতে এসে থামেন। যাত্রীদের অনেকেই অর্ধাহারে ও শীতের কোপে অসুস্থ ও দুর্বল হযয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে যারা সুস্থ ছিলেন তারা জাহাজ থেকে তীরে এসে নামেন। ওখানেই তারা প্লিমথ নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। স্কোয়ান্তো নামের এক উপজাতি আমেরিকান ইন্ডিয়ানের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। স্কোয়ান্তো তাদের নিজে হাতে শিখিয়ে দেয় কিভাবে কর্ন বা ভুট্টা চাষ করতে হয় বা মাছ ধরতে হয় এবং কিভাবে ম্যাপল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে হয়।
১৬২১ সালের নভেম্বরে প্লিমথবাসী তাদের উৎপাদিত শস্য কর্ন নিজেদের ঘরে তুলতে পেরেছিল। কর্ন বা ভুট্ট্রার ফলন এত বেশি ভালো হয়েছিল যে, গভর্নর উইলিয়াম এ উপলক্ষে সব আদিবাসী এবং নতুন প্লিমথবাসীর সৌজন্যে ভূরিভোজের আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠানে সবাই প্রথমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান তাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ও এমন সুন্দর শস্য দান করার জন্য। তারপর উপস্থিত সবাইসবাইকে ধন্যবাদ জানান সারা বছর একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। এই অনুষ্ঠানটি আমেরিকার প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও ঘরে বসে নেই। উদযাপন করেছে এই বিশেষ দিনটি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে চলে টার্কি দিয়ে ডিনার সহ সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন। নিউইয়র্কের জ্যাকসন্স হাইটস, ব্রুকলীন, ব্রোনক্সসহ নিউজার্সি, পেনসেলভানিয়া, বোষ্টন, ভার্জিনিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটসসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি ও মুসলমান মালিকানাধীন গ্রোসারির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে হালাল টার্কি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে উক্ত দোকানগুলোতে দেদারছে চলছে হালাল টার্কির বেচাকেনা। আর থ্যাংকস গিভিং ডে উপলক্ষে ৪ কোটি ৫০ লাক্ষ জবাই হয়।