ব্রিটেনে প্রকোপ বাড়াচ্ছে ‘ভারতীয় স্ট্রেন’। করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ‘বি.১.৬১৭.২’ এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে সে দেশে যে কেন্ট, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের পর এটিকেও তাড়াতাড়ি ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’-এর তালিকায় নথিভুক্ত করার উপদেশ দিচ্ছেন ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মোটের উপর দেশ জুড়ে থাবা বসালেও বর্তমানে ইংল্যান্ডের উত্তরপূর্বাঞ্চল এবং লন্ডন শহরেই ভারতীয় স্ট্রেনের সংক্রমণের বহর সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যেই কমপক্ষে ৫০০ জনের শরীরে এর সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় স্ট্রেনে সংক্রমিতের সংখ্যাটি ছিল ২০২। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা এবং ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’-এর উপরেও জোর দেয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সাথে ভারত থেকে কাউকে ব্রিটেনে আসতে দেয়া নিয়ে কড়াকড়ি আরো বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার জন্য দায়ী ছিল ‘কেন্ট ভ্যারিয়্যান্ট’। যার চেয়েও বেশি সংক্রামক ভারতীয় স্ট্রেন। প্রতিবেশী দেশ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও ভারতীয় স্ট্রেনে সংক্রমিত সাতজনের হদিস মিলেছে সম্প্রতি।
অন্য দিকে, দু’দিন আগেই ব্রিটেনে জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া ভারতীয় দলের দুই সদস্য করোনা আক্রান্ত হন। যার জেরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ গোটা ভারতীয় প্রতিনিধি দলকেই নিভৃতবাসে যেতে হয়। এ দিকে গতকাল বিদেশ মন্ত্রকের টুইট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে মাস্ক ছাড়াই যোগ দিয়েছেন জয়শঙ্কর! আরো এক আধিকারিকের মুখেও নেই মাস্ক। যা ঘিরে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সূত্র : আনন্দবাজার