ইউরোপে শিশুদের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনা টিকা ফাইজার-বায়োটেক। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
ইইউ ইতোমধ্যে ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য ফাইজারের টিকাদানের অনুমোদন দিয়েছে। জার্মান নেতারা একমত হন যে, ৭ জুন থেকে তারা ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরকে করোনার টিকাদান শুরু করতে পারে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো এখনই তাদের শিশুদেরকে টিকা দেবে কি-না এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। জার্মানি বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োটেকের তৈরি টিকা দেয়ার অনুমতি দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ সতর্ক করেছিলেন, ‘যতক্ষণ না মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মহামারি শেষ হবে না।’
ইএমএ’র ভ্যাকসিন স্ট্রেটেজির প্রধান মারকো কাভালেরি বলেন, ‘১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে টিকার দুই ডোজ প্রয়োগ করতে হবে এবং এক ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে অন্তত তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রায়ালগুলোতে ফাইজারের টিকা শিশুদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর জন্য ‘অত্যন্ত প্রতিরোধমূলক’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সুরক্ষার দিক থেকে টিকাটি যথেষ্ট সহনশীল এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমরা তরুণ-প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যা দেখেছি শিশুদের ক্ষেত্রেও তেমন ছিল ট্রায়ালে। এ বিষয়ে ব্যাপক উদ্বেগের তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।’
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ইউরোপকে টিকাদানের ব্যাপারে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এরপরই ইএমএ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সূত্র: বিবিসি