২০১৯ সালে ১০ দল নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৩ সালে আগামী বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা গত আসরের মতোই থাকছে। তবে পরের প্রতিযোগিতা থেকে দলের সংখ্যা বাড়ছে। এফটিপির পরবর্তী চক্রে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অংশ নিতে ১৪ দলকে অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ দলকে অংশ নিতে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
আট বছরের এই চক্র শুরু হবে ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে সব মিলিয়ে হবে আটটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। এ ছাড়া বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন করে পুরুষদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও অন্তর্ভুক্ত হবে। গতকাল মঙ্গলবার আইসিসির নির্বাহী বোর্ডের অনলাইন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৭ ও ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪ দলের অংশগ্রহণে হবে ৫৪ ম্যাচ। আর ২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে ২০ দল। ম্যাচ হবে ৫৫টি। এ ছাড়া ২০২৫ ও ২০২৯ সালে আয়োজিত হবে আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে ২০২৫, ২০২৭, ২০২৯ ও ২০৩১ সালে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি গ্রুপে খেলবে সাতটি করে দল। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ তিন দলকে নিয়ে হবে সুপার সিক্স, লিগ পদ্ধতিতে তারা একে অপরকে খেলবে। প্রথম চার দল খেলবে সেমিফাইনাল, তারপর ফাইনাল। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপও খেলা হয়েছিল এই ফরম্যাটে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচ দলের চারটি গ্রুপের লড়াই হবে। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল খেলবে সুপার এইটে। সেরা চার দল যাবে সেমিফাইনালে, তারপর হবে শিরোপার লড়াই।
তবে বোর্ড বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ‘তিন মোড়ল’ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। এই সময়ে বৈশ্বিক ইভেন্টের চেয়ে আরও বেশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু আইসিসি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বেশি বেশি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে তাদের রাজস্ব বাড়বে যা দিয়ে সংস্থার অধিভুক্ত দেশগুলোকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সহজ হবে।