বৃষ্টির কারণে শুরুতে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ম্যাচ শুরু করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। যদিও বৃষ্টি আইনে দুদলের ৯ ওভার করে কাটা হয়। খেলা গড়ায় ১১ ওভারে, আর তাতেই ঝড় তোলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ৫১ রান তোলা ব্রাদার্স শেষ তিন ওভারে তোলে ৫০ রান। এতেই বড় সংগ্রহ পায় তারা।
ব্রাদার্সে দেওয়া লক্ষ্য খুব সহজেই উতরে যায় আবাহনী। শুরুটা করেছিলেন মুনিশ শাহরিয়ায়, আর শেষ করেছেন নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের দুর্দান্ত জুটিতে এক ওভার এক বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় মুশফিকরা। এ জয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আবাহনী।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিকীর। দুজনের জুটিতে ৩৮ রানের শুভ সূচনা পায় ব্রাদার্স। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে মিজানকে সাজঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ফেরার আগে ১৪ বলে ২০ রান যোগ করেন তিনি।
তিনে এসে আরাফাত সানির বলে মুশফিকুর রহিমের কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাইশুকুর রহমান। পরের বলে রাতুল ফেরদৌসকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান সানি। দুজনই গোল্ডেন ডাক মারেন। খানিক পরই সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন জুনাইদও (২০)। পরের বলে হাবিবুর রহমানকেও ফেরান এই পেসার।
শেষের তিন ওভারে আলাউদ্দিন বাবু ও জাহিদুজ্জামানের ব্যাটে ৫০ রানের জুটিতে ১০১ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স। শেষ ওভারে মেহেদি হাসান রানাকে দুই ছয় দুই চারে ২৩ রান আদায় করে নেন জাহিদুজ্জামান। ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত বাবুর সঙ্গে সমানসংখ্যক বল খেলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন জাহিদুজ্জামান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে এসে ওভার প্রতি দশের বেশি রান তুলতে থাকেন আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মুনিশ শাহরিয়ার। তবে এই জুটিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি হাবিবুর রহমান। ৩৮ রানের মাথায় ১২ বলে ২৫ করা মুনিশকে বোল্ড করে ফেরান তিনি।
তিনে এসে নাইমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। ২১ বলে ৩৭ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, তার সঙ্গে অপরাজিত নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৬ রান।